তৃতীয়বারের মতোদ্বিতীয় রাউন্ড থেকে নাইজেরিয়ার বিদায়

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর:আফ্রিকার চ্যাম্পিয়নরা দারুণ প্রতিরোধ গড়েছিলো।গোলপোস্টের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ভিনসেন্ট এনিয়ামা; কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ম্যাচের শেষ দিকের দু গোলে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠে গেছে তুখোড়ফ্রান্স।ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে এনিয়ামার একটু ভুলেই ফ্রান্সকে এগিয়ে নেন পল পগবা।আর যোগ করা সময়ে জোসেফ ইয়োবোর আত্মঘাতী গোলে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়নাইজেরিয়ার।সোমবার ব্রাজিলিয়ার স্তাদিও নাসিওনালে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে নাইজেরিয়া।পিটারওদেমউইঙ্গি, এমানুয়েল এমেনিকে, আহমাদ মুসা, ভিক্তর মোসেস সমৃদ্ধ ‘সুপারঈগল’দের আক্রমণ সামাল দিতে বেশ বেগ পেতে হয় ফরাসি রক্ষণভাগের।ম্যাথুউদেবুশি, প্যাট্রিস এভরা, লরাঁ কোসিয়েলনি, রাফায়েল ভারানের রক্ষণ দূর্গভেঙে প্রায়ই গোলরক্ষক উগো লিওরিসকে পরীক্ষায় ফেলেন মুসা, ওদেমউইঙ্গিরা।১৯তম মিনিটে বিপদমুক্ত করতে গিয়ে হেড করে দেবুশি বল তুলে দেন মুসাকে। তিনিবল বাড়ান এমিনিকেকে। তার শট সাবেক চ্যাম্পিয়নদের জাল খুঁজে পেলেও অফসাইডেরকারণে গোল বাতিল করেন রেফারি মার্ক গাইগার।তিন মিনিট পর প্রথমসত্যিকারের সুযোগটি পায় ফ্রান্স। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে এগুনো পল পগবা খুঁজেপান ম্যাথিউ ভালবুয়েনাকে। একটু এগিয়ে তিনি ফেরত পাঠান পগবাকে। ইউভেন্তুসমিডফিল্ডারের হাফভলি ঠেকিয়ে নাইজেরিয়ার ত্রাতা ভিনসেন্ট এনিয়ামা।প্রথমার্ধেরশেষ দিকে একটি করে সুযোগ হাতছাড়া করে ফ্রান্স ও নাইজেরিয়া। ভালবুয়েনারফ্লিক থেকে অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি দেবুশির শট। আর খেলা শেষ হওয়ার একমিনিট আগে ২৫ গজ দূর থেকে এমেনিকের জোরালো শট কোনোমতে ঠেকান লিওরিস।কড়াপাহারায় থাকা করিম বেনজেমা, অলিভিয়ে জিরুদরা প্রথমার্ধে তেমন কিছুই করতেপারেননি। বেনজেমা মাঝে মধ্যে ঝলক দেখালেও নিষ্প্রভ ছিলেন জিরুদ। শেষ দিকেতার দুর্বল হেডে হাতছাড়া হয় ফ্রান্সের একটি ভালো সুযোগ।দ্বিতীয়ার্ধেও তেমন কিছু করতে পারেননি জিরুদ। ৬১তম মিনিটে আর্সেনালের এই ফরোয়ার্ডকে তুলে নেন দিদিয়ে দেশম।৬৪তম মিনিটে ভালো একটু সুযোগ পায় নাইজেরিয়া। ডি বক্সের বাইরে থেকৈ ওদেমউইঙ্গির শট কোনোমতে ঠেকান ফরাসি অধিনায়ক লিওরিস।ছয় মিনিট পর নাইজেরিয়াকে নিশ্চিত গোলের হাত থেকে রক্ষা করেন মোজেস।অন্তোয়ান গ্রিজমানের সঙ্গে ওয়াট-টু করে ডি বক্স থেকে আগুয়ান এনিয়ামাকেপরাস্ত করেন বেনজেমা। তবে বল জালে যায়নি, গোললাইনের ঠিক সামনে থেকে বলবিপদমুক্ত করন মোজেস।৭৭তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়ফ্রান্সের। ভালবুয়েনার কর্নার থেকে বল পান বেনজেমা। তার শট বিপদমুক্ত করারচেষ্টা করেন জন ওবি মিকেল। ঠিক মতো পারেননি বল পেয়ে যান ইয়োহান কাবাই। তারভলি ক্রসবারে লেগে ফিরলে হতাশায় পুড়তে হয় সাবেক চ্যাম্পিয়নদের।মিনিট পর আর হতাশ হতে হয়নি ইউরোপের দলটিকে। ভালবুয়েনার কর্নার এগিয়ে এসেঠিকভাবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি এনিয়ামা। বল পেয়ে যান পগবা। তার হেড জালেজড়ালে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।শেষ দিকে ফ্রান্সের আরেকটি দারুণ আক্রমণঠেকান এনিয়ামা। ব্লেইজ মাতুউদির কাছে থেকে বিপজ্জনক জায়গায় বল পানগ্রিজমান। অফ সাইড ফাঁদ ভেঙে ডি বক্সে এই ফরোয়ার্ডের সামনে ছিলেন কেবলনাইজেরিয়ার গোলরক্ষক। কিন্তু শেষ বাধা পার করতে পারেননি তিনি। এনিয়ামারআরেকটি দুর্দান্ত সেভে বেঁচে যায় আফ্রিকার দলটি।যোগ করা সময়েভালবুয়েনার ক্রসে পা ছোঁয়ালেই গোল পেতে পারতেন গ্রিজমান। তিনি পারেননি, কিন্তু সাথে লেগে থাকা ইয়োবোর পায়ে লেগে জালে জড়ালে তৃতীয়বারের মতোদ্বিতীয় রাউন্ড থেকে নাইজেরিয়ার বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়।