তীরে এসে তরী ডুবল বাংলাদেশের

স্টাফ রিপোর্টার: সদ্যসমাপ্ত টেস্ট ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে ড্র করার পর দারুণ উজ্জীবিত টাইগার বাহিনী এবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি টুয়েন্টিতে জয়ের আশা জাগিয়েও পারলো না। পুরো ম্যাচে দারুণ খেলা বাংলাদেশ হেরেছে মাত্র দু রানে। শেষ ওভারে ১৭ রান দরকার থাকলেও বাংলাদেশ ১৪ রান করতে পারায় তীরে এসে তরী ডুবলো টাইগারদের। শেষ বলে ৩ রান দরকার থাকলেও নো বলের নাটকীয়তার পরেও এনামুলের ক্যাচ আউটের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন।

এনামুল, সাকিব, তামিম, সামসুরদের ব্যাটিং আর মাশরাফি, সাকিব, ইলিয়াসদেরও বোলিং নৈপুন্যে দু ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ হেরে গেলেও দুর্দান্ত লড়াকু মনোভাব দেখিয়েছে। উদ্বোধনী জুটিতে তামিম এবং সামসুর ৫২ রান যোগ করে শক্ত ভিত রচনা করেন। তবে দ্রুত তাদের দু জনের বিদায়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে এনামুল আর সাকিবের ৪৩ রানের জুটিতে স্বস্তি ফেরে বাংলাদেশ শিবিরে। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন এনামুল। ছয় চারের সাহায্যে ২৫ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে পেরেরার শিকার হন তামিম। আর সামসুর মাত্র ১৫ বলে ২২ রান করে আউট হন ম্যাথুসের বলে। দলীয় রান ১০০ পার হওয়ার পর ২৬ রানে আউট হন সাকিব। মাত্র ১৭ বলে দুই চার এবং এক ছয়ে এই রান করেন সাকিব।

টি টোয়েন্টিতে লংকানদের বিরুদ্ধে এর আগেও দু বার মুখোমুখি হলেও কোনো সাফল্য ছিলো না। এবারও হলো না। তবে গতকাল চট্টগ্রামের ম্যাচের শুরু থেকে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের নৈপুন্যের সাথে সাথে ভাগ্যও বেশ সুপ্রসন্ন ছিলো। টস জেতার মধ্যদিয়ে সৌভাগ্যের দেখা পায় স্বাগতিকরা। তবে শেষ বলের নাটকীয়তায় শেষ বেলায় আর সৌভাগ্যের দেখা পেলো না বাংলাদেশ। টসজিতে ফিল্ডিঙের সিদ্ধান্ত যথার্থ বলে প্রমাণ করেন অধিনায়ক মাশরাফি প্রথম ওভারেই দিলশানকে ফিরিয়ে। দ্বিতীয় উইকেটেই প্রতিরোধ গড়ে লংকানরা। তবে ৬১ রানের মাথায় চান্দিমালকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেন সাকিব। শুধু তাই নয় সাঙ্গাকারা জ্বলে ওঠার আগে তাকেও সাজঘরে পাঠান সাকিব। এর পর তেমন কোন ব্যাটসম্যানই স্কোর পাননি। পেরেরার ৪৪ বলে ৬৪ এবং কুলসেকারা দু ছয় আর এক চারের সাহায্যে করা ২১ বলে ৩১ রানের কল্যাণে দেড়শ পার করে শ্রীলঙ্কা। নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে শ্রীলংকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৮। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব, মাশরাফি আর ইলিয়াস সানি পান দুটি করে উইকেট।