তাসকিনের স্বপ্নপূরণ

স্টাফ রিপোর্টার: কঠিন সময়ের ভেতর দিয়ে যাওয়া তাসকিন আহমেদের একটি স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পথে। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাব আবাহনীর হয়ে খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন এ গতি তারকা। বোলিঙে ত্রুটি থাকায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং নিষিদ্ধ হয়ে থাকা তাসকিনের জন্য বড় পরীক্ষা হতে যাচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। সেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে অধীর এই তরুণ। চেষ্টা করবো নিজের সেরাটা দেয়ার, স্মরণীয় কিছু করার। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় লিগ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। এখানে সবারই লক্ষ্য থাকে ভালো কিছু করার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং নিষিদ্ধ হলেও বোর্ডের অনুমতি নিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে কোনো বাধা নেই তাসকিনের। দেশের সবচেয়ে দ্রুত গতির পেসারের দল পেতে কোনো সমস্যা হয়নি। শিরোপা প্রত্যাশী আবাহনী দলে নিয়েছে তাকে। একেবারে ছোট থেকে শুনে আসছি আবাহনী-মোহামেডানের কথা। এখন পর্যন্ত আবাহনীতে খেলা হয়নি। এবার আবাহনীতে খেলার সুযোগ হয়েছে এটাকে স্বপ্ন পূরণও বলতে পারেন। এবার বাবারই ইচ্ছে ছিলো আমি আবাহনীতে খেলি। ২২ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া এবারের লিগে আবাহনীর কোচ সাবেক অলরাউন্ডার খালেদ মাহমুদ। নতুন দলে তাকে কোচ হিসেবে পেয়ে ভীষণ খুশি তাসকিন।

খালেদ মাহমুদ সুজন স্যারের দলে খেললে কেন জানি মনে হয়, কাছের একজন অভিভাবকের দলে খেলছি। উনিই বিপিএলে আমাকে (চিটাগং কিংসের হয়ে) সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলার সুযোগ দিয়েছিলেন। সেটাকে আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্টও বলতে পারেন।  অনূর্ধ্ব-১৫ ক্রিকেট থেকে তাসকিনকে পরামর্শ দিয়ে আসছেন সাবেক অলরাউন্ডার মাহমুদ, তিনি জানেন আমাকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করলে ভালো ফল এনে দিতে পারি। আমি সব সময় উনার দলে খেলতে চাই। বিশ্বকাপ থেকে ফিরেই বোলিং অ্যাকশন সংশোধনের কাজ শুরু করেন তাসকিন। শ্রীলঙ্কা-মালদ্বীপে বেড়ানোয় সাময়িক বিরতি পড়েছিলো সেই কাজে। দেশে ফিরে আবার শুরু হয়েছে তার কঠোর পরিশ্রম। আবার পরীক্ষা দিতে যেতে হবে। এটা তো অবশ্যই আমার জন্য একটা ফ্যাক্ট। তবে এটা নিয়ে বেশি চিন্তা করছি না। কারণ, আমার (বোলিং অ্যাকশনের) বড় কোনো পরিবর্তন নেই। বিসিবি যে পরিকল্পনা দিয়েছে, সেই অনুযায়ী কাজ করছি।

আপাতত তাসকিনের ভাবনা জুড়ে আছে কেবল আবাহনী। নতুন দল থেকে অনেক সাহায্যও পাচ্ছেন এ তরুণ। আবাহনীতে যারা আছেন, তারা সবাই আমাকে অনেক সহায়তা করছেন। এখন লক্ষ্য প্রিমিয়ার লিগে খেলার, লিগ শেষে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা করব। তবে কাজ তো করছিই। বিসিবি যখন চিন্তা করবে পাঠানোর তখন পরীক্ষা দিয়ে আসবো।