ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনেই ব্যাকফুটে টাইগাররা

স্টাফ রিপোর্টার: সিরিজ নির্ধারণী ঢাকা টেস্টে দারুণ শুরু করেছিলো টাইগাররা। দীর্ঘ ৪ বছর পর টেস্ট দলে ফিরেই বাজিমাত করেছে আব্দুর রাজ্জাক। দু’স্পিনার রাজ্জাক ও তাইজুলের ঘূর্ণিতে তৃতীয় সেশনের শুরুতেই ২২২ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কাকে। বোলাররা পারফর্ম করলেও প্রথম দিনটি বাংলাদেশের হতে দিলো না টাইগার ব্যাটসম্যানরা। শুরুর মতো ভালো হলো না তাদের শেষটা। ব্যাট হাতে বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে স্বাগতিকরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২২ ওভারে ৪ উইকেটে ৫৬ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে তারা। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ২২২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফিরলেন বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল। সুরঙ্গা লাকমলের করা ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মারার পর তৃতীয় বলেই সাজঘরে ফিরেন তামিম।  তৃতীয় বলে নিজের করা বল নিজেই ক্যাচ নিয়ে তামিমকে বিদায় করেন লাকমল।

তামিমের বিদায়ের পরপরেই রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন প্রথম টেস্টের নায়ক মুমিনুল হক। এরপর দলীয় ১২ রানে লাকমলের বলে বোল্ড হয়ে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। পরবর্তীতে ৩৩ রানের জুটি গড়েন ইমরুল ও লিটন। তবে দিনের খেলা শেষ হওয়ার ১৩ বল আগে আউট হন ইমরুল। যাওয়ার আগে ১৯ রান করে যান। মেহেদী হাসান মিরাজ ৪ ও লিটন কুমার দাশ ২৪ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। শ্রীলঙ্কার চেয়ে এখনো ১৬৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ঢাকা টেস্টে রাজ্জাক-তাইজুলের স্পিন ঘূর্ণিতে ২২২ রানে গুটিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস। শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল। টস হেরে বোলিংয়ে এসেই প্রথম ব্রেকথ্রু আসে রাজ্জাকের হাত ধরে। টেস্টে প্রত্যাবর্তনের শুরুতেই সতীর্থদের উদযাপনের মধ্যমণি হন তিনি। ষষ্ঠ ওভারের মাথায় ওপেনার দিমুথ করুণারত্নেকে (৩) ফিরিয়ে লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপে কাঁপন ধরান রাজ্জাক। লিটন দাসের স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি।

এরপর দানুশকা গুনাথিলাকাকে (১৩) মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি করার পর দিনেশ চান্দিমালকে (০) গোল্ডেন ডাক উপহার দেন রাজ্জাক। ৯৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে তখন চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। লাঞ্চ থেকে ফিরেই বিপদজনক কুশাল মেন্ডিসকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন রাজ্জাক। বিদায়ের আগে ৯৮ বলে মেন্ডিসের রান ৬৮। রাজ্জাকের পরপরেই লঙ্কান দলে ১ রান যোগ হতেই তাইজুলের আঘাত। পরের ওভারেই নিরোশান ডিকভেলাকেও বোল্ড করে সাজঘরে পথ দেখান তাইজুল ইসলাম। দলীয় ১১০ রানে ৬ উইকেটের পতনে ধুঁকতে থাকে লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপ। রোশেন সিলভার সঙ্গে টেস্ট অভিষিক্ত আকিলা ধনাঞ্জয়ার পার্টনারশিপের (৪৩) সমাপ্তি টেনে উইকেটের খাতায় নাম লিখিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। দলীয় ২০৫ রানে অষ্টম উইকেট হারালেও একপ্রান্ত আগলে ব্যাট করেছেন করেছেন সিলভা। শেষ ব্যাটসম্যান রোশেন সিলভাকে (৫৬) ফিরিয়ে আব্দুর রাজ্জাকের সমান চারটি উইকেট দখল করেন তাইজুল ইসলাম।