ডাবল সেঞ্চুরিও সম্ভব এই দিনে বুঝেছিল ওয়ানডে ক্রিকেট

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ২০ বছর আগে আজকের এ দিনটিতে চমকে গিয়েছিলো বিশ্ব। পাকিস্তানি এক ব্যাটসম্যানের জন্য আসন ছেড়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন ৪৫ হাজার ভারতীয় দর্শক। উপায় ছিলো না তাদের, একটু আগেই যে অকল্পনীয় এক দৃশ্য দেখেছেন। সাঈদ আনোয়ার নামের সৌম্য-শান্ত দেখতে এক ব্যাটসম্যান তাণ্ডব চালিয়ে আউট হয়েছেন ১৯৪ রানে। তখনো দুই ওভারের বেশি বল বাকি ছিলো। টিকে থাকলে ডাবল সেঞ্চুরিটাও হয়ে যেত। তা হয়নি। তবে টি-টোয়েন্টি যুগের ঢের আগে ওয়ানডেতেও যে ডাবল সেঞ্চুরি সম্ভব—এই দিনে বুঝেছিলো বিশ্ব ক্রিকেট। ডাবল সেঞ্চুরি সেদিন হয়েই যেতে পারতো। কিন্তু কবজির সামান্য একটা মোচড়ে যে ব্যাটসম্যান ফিল্ডিং দলকে ছিন্নভিন্ন করে দিতেন, সেই তিনিই আউট হলেন সুইপ খেলতে গিয়ে! অবশেষে থামল চেন্নাইয়ের তীব্র গরমে খেলা তার ১৪৬ বলের ইনিংস। ২২ চার ও ৫ ছক্কার ইনিংসটি শেষ হয়েছিলো ৪৭তম ওভারে। ১৮তম ওভার থেকেই রানার নিয়ে খেলতে হয়েছিল তাকে। তবে রানার শহীদ আফ্রিদিকে দিয়ে খুব একটা পরিশ্রম করাননি আনোয়ার। ১১৮ রানই তো নিয়েছেন বাউন্ডারিতে। এর মাঝে অনিল কুম্বলেকে মারা তার টানা তিন ছক্কায় চুপ হয়ে গিয়েছিলো পুরো স্টেডিয়াম। সেদিন পাকিস্তানের ৩২৭ রানের স্কোরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান? ৩৯ রান! এ ইনিংস নিয়ে ওয়ানডের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান ও তখন আনোয়ারের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী শচীন টেন্ডুলকারের মন্তব্য, ‘আমার দেখা সেরা ইনিংস।’ সে ইনিংসটা যখন পূর্ণতার অপেক্ষায়, ওয়ানডের ডাবল সেঞ্চুরির জন্য সবাই যখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখনই একটা টপ এজ। ফাইন লেগে সৌরভ গাঙ্গুলির কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন আনোয়ার। বোলার? টেন্ডুলকার! কারণ, ওই যে নিয়তি! ভাগ্য যে লিখে রেখেছে ওয়ানডেতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটা টেন্ডুলকারকে দিয়েই লেখানো হবে! ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সে মাইলফলকটা ছুঁয়েছেন টেন্ডুলকার।

তবে ৫০ ওভারের ক্রিকেটেও যে এমন কিছু করা সম্ভব, সেটা তো একসময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ারই টেন্ডুলকারকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন ১৩ বছর আগে। তার আগে ওয়ানডের সর্বোচ্চ ইনিংসটা ছিলো ভিভ রিচার্ডসের, ১৯৮৪ সালে করা ১৮৯ রানের ইনিংস। আনোয়ারের রেকর্ডটাও টিকে ছিলো ১৩ বছর। তবে এর মধ্যে জিম্বাবুয়ের চার্লস কভেন্ট্রিও ১৯৪ রানের এক ইনিংস খেলেছিলেন অবশ্য, বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০০৯ সালে।