টেন্ডুলকারের কোনো ইনিংসটি লারার সবচেয়ে প্রিয়

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সিডনি ক্রিকেট মাঠটা তার খুব প্রিয়। এ মাঠেই প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন। এ মাঠের প্রতি ভালোবাসা থেকেই ব্রায়ান লারা তার মেয়ের নাম রেখেছেন সিডনি। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শচীন টেন্ডুলকারেরও একটি ডাবল সেঞ্চুরি আছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ২৪৮ করার আগে সেটাই ছিল টেন্ডুলকারের ক্যারিয়ার-সেরা। সিডনির সেই ২৪১ রানের ইনিংসটি লারারও খুব প্রিয়। রানের হিসাবে হয়তো ঢাকা টেস্টের ইনিংসটিই টেন্ডুলকারের সেরা, তবে ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে সিডনি টেস্টে যে দুর্দান্ত ইনিংসটি তিনি খেলেছেন, সেটাকেই সেরা বলেন অনেকে। ফর্মের তুঙ্গে থাকা স্টিভ ওয়াহর অস্ট্রেলিয়াকে সেই ইনিংসে নিজের পায়ের নিচে সমর্পণ করতে বাধ্য করেছিলেন টেন্ডুলকার। সেটা ছিলো স্টিভ ওয়াহর শেষ টেস্টও। স্টিভের বিদায় সংবর্ধনার আলোটা যেনো চুরি করে নিয়েছিলেন টেন্ডুলকার।
ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো দলের উপদেষ্টা হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিতে আসা লারার চোখে ভাসে এখনো সেই ইনিংস, ‘আমার মনে আছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওই সিরিজটা। ওই ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছুনোর আগে পর্যন্ত একটাও কাভার ড্রাইভ করেনি শচীন। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে বেশ কিছুক্ষণ পাশাপাশি ছিলেন ক্রিকেটের দু মহারথী। একসময় এ দুজনকে দুজনের প্রবল প্রতিপক্ষ ভাবতেই ভালোবাসত সবাই, যদিও লারার প্রতি টেন্ডুলকারের, কিংবা টেন্ডুলকারের প্রতি লারার শ্রদ্ধার কমতি কখনোই হয়নি। লারা আবারও জানিয়ে দিলেন টেন্ডুলকারের প্রতি তার সেই মুগ্ধতার কথা, ‘ভারতীয় দলে দ্রাবিড়-লক্ষ্মণের মতো অনেক বড় মাপের ব্যাটসম্যানই এসেছে। কিন্তু শচীন সবসময়ই ছিলো অন্য রকম।’

টেন্ডুলকারের এক বছর পর তার অভিষেক। সেই টেন্ডুলকার এখনো খেলে যাচ্ছেন। লারা অবসর নিয়ে ফেলেছেন ছয় বছর আগে। এ নিয়ে লারার কোনো আক্ষেপ নেই। টি-টোয়েন্টির টাকার হাতছানিতে একবার ফিরে আসার ব্যর্থ চেষ্টাও করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাত্র তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই শেষ হয়ে গেছে তার ক্যারিয়ার। ওই তিন ম্যাচের সব কটিই ছিলো ঘরোয়া। এ নিয়েও আক্ষেপ নেই টেস্ট ইতিহাসের ৪০০ রানের ইনিংস খেলা একমাত্র ব্যাটসম্যানটির, ‘আমার মনে হয় না, আমি টি-টোয়েন্টিতে সাফল্য পেতাম। আসলে আমি এমন এক ধরনের ব্যাটসম্যান ছিলাম, যার থিতু হতে অনেক সময় লাগতো। এ ফরম্যাটের সাথে বরং শচীন, রিকিরাই (পন্টিং) বেশি মানানসই।’