জেল হতে পারে রোনাল্ডোরও

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ফুটবলীয় কারণ ছাড়াও প্রায়ই শিরোনামে আসছেন স্প্যানিশ লিগের ফুটবলাররা। কর ফাঁকির মামলায় বার্সেলোনার তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি ও নেইমারের ত্রাহি অবস্থা। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় মেসিকে দেয়া হয়েছিল ২১ মাসের কারাদণ্ড। আপিলও করেছিলেন মেসি। তাতে কোনো লাভ হয়নি। ২১ মাসের কারাদণ্ডের রায় বহাল রেখেছেন স্পেনের সুপ্রিমকোর্ট। একই অবস্থা নেইমারেরও। দুই বছরের জেল হতে পারে ব্রাজিল তারকার। এবার রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর কর ফাঁকির অভিযোগের তদন্তে নামছে দেশটির সরকার। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ জানিয়েছে, ২০১১ থেকে ২০১৩ সালে রোনাল্ডোর বিপক্ষে আট মিলিয়ন ইউরো কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হলে প্রতিবছরের জন্য তিনি চার মাসের সাজা পাবেন। তবে এজন্য জেলে যেতে হবে না সিআরসেভেনকে। কারণ স্প্যানিশ আইনানুযায়ী, ২৪ মাসের কম সাজা হলে তাকে জেলে যেতে হয় না। এর আগে গত বছর রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ড কর ফাঁকির অভিযোগ ওঠে। রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক কোচ হোসে মরিনহো এবং রোনাল্ডোর এজেন্ট জর্জ মেন্ডেসের বিরুদ্ধেও কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। যদিও রোনাল্ডো ও মরিনহো এরই মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগের প্রতিবাদ করেছেন। রোনাল্ডোর পক্ষে রিয়াল মাদ্রিদও এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছে। পাঁচ বছর পর প্রথবারের মতো লা লিগার শিরোপা জিতে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন রোনাল্ডো। আগামী ৩ জুন কার্ডিফে চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে জুভেন্টাসের বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। ইউরোপ সেরার ফাইনালের আগে এমন ঘটনা রোনাল্ডোকে বিব্রত করেছে।