জাপানি যুবাদের রুখতে পারলো না বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার: জাপান আর বাংলাদেশের ফুটবলের দূরত্বটা বুঝিয়ে দিলো সূর্যোদয়ের দেশটির যুবারাই। পূর্ণশক্তির জাতীয় দল এটি ছিলো না। খেলেছে আসলে অনূর্ধ্ব-২১ বছর বয়সীদের নিয়ে গড়া জাপানের যুবদল। সেই দলটাই বাংলাদেশকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দিলো। তাকুমা আর তাকুমির কাছেই হারলো বাংলাদেশ। বদলি খেলোয়াড় আসানো তাকুমা করেছেন জোড়া গোল। অন্য গোলটি মিনামিমো তাকুমির। বাস্তবতা জানেন বলেই বাংলাদেশ দলের কোচ সাইফুল বারী ড্র পেলেই খুশি হবেন বলে জানিয়েছিলেন। অধিনায়ক মামুনুল অবশ্য বলেছিলেন চমকের কথা। কিন্তু ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই মুহুর্মুহু আক্রমণ করে জাপান বুঝিয়ে দেয়, রক্ষণ সামলাতেই বাংলাদেশকে ব্যস্ত থাকতে হবে, আক্রমণে যাওয়ার সৌভাগ্য খুব একটা হবে না। হলোও তা–ই। জাপানের গোলমুখে বাংলাদেশের প্রথম সার্থক আক্রমণ হলো ম্যাচের ৩০ মিনিটে। সেই আক্রমণটিও নিষ্ফলা।

মাঝমাঠেই বাংলাদেশকে থমকে যেতে হচ্ছিলো, যেখানে প্রতিপক্ষের গোলদূর্গ তো অনেক দূরের গন্তব্য। তবে আক্রমণে যেতে না পারলেও রক্ষণের কাজটা বাংলাদেশ কিন্তু ভালোমতোই করে যাচ্ছিলো। প্রথমার্ধে জাপানের প্রায় নিশ্চিত কয়েকটা গোল বাঁচিয়ে দিয়েছেন গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ। বাংলাদেশের রক্ষণও প্রথমার্ধে বেশ সফলতার সাথেই তাদের কাজটি করেছে।
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে গত ম্যাচে জাপান যুবদলের কোচ নয়টি বদলি খেলোয়াড় নামিয়েছিলেন দ্বিতীয়ার্ধে। কিন্তু এদিন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি নামালেন মাত্র একজন। ১৯ নম্বর জার্সিধারী সেই তাকুমাই সর্বনাশটি করল বাংলাদেশের। ৫৯ মিনিটে গোলমুখের গোরো খুললেন তিনি। সেই খোলা মুখে ৭২ মিনিটে ২-০ করে ফেলেন তাকুমি। এর তিন মিনিটের মধ্যেই তাকুমার আরও একটি গোল। পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের অর্জন বলতে কনে আঙুলের কড়েই গুনে ফেলতে পারা গোটাকয় আক্রমণ। এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেল এশিয়ার ১ নম্বর আর ৩৩তম ফুটবল দেশের মধ্যকার দুস্তর ব্যবধান। ক্লাব এবং জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশের ফুটবলে সাম্প্রতিক কিছু সুখবর এলেও এটা স্পষ্ট, ফুটবলে সম্মানজনক লড়াই করার মতো একটা দল গড়ে তুলতে হলে এখনো বহু পথ পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশকে।