জাদুঘরে যাচ্ছে সেই ‘হলুদ কার্ড’

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ১৯৯০’র ইতালি বিশ্বকাপ ইংলিশ ফুটবল ভক্তদের কাছেআলাদা আবেগের। দীর্ঘ ২৪ বছর পর ইংল্যান্ডকে সেমিফাইনাল খেলতে দেখছিলোভক্তরা। আর ওই ম্যাচে ইংলিশরা দেখেছিলেন সেরা তারকা পল গ্যাসকয়েনের অঝোরকান্না। তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে সেমিফাইনালে হলুদ কার্ড দেখেনগ্যাসকয়েন। এতে ফাইনালে খেলার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় তার। তাৎক্ষণিক হতাশায়মাঠে কেঁদে ফেলেন পল গ্যাসকয়েন।  গ্যাসকয়েনের কান্নার ছবিটা বিশ্ব ফুটবলেহয়ে আছে আলাদা স্মারক। এবারের বিশ্বকাপের আগে ইংলিশদের ওই স্মৃতি আবারতাজা। সেদিনের রেফারি হোসে রবার্তো রাইটের কাছে ওই ম্যাচের কোনো এক স্মারকনিদর্শন চেয়ে সমপ্রতি আবেদন পাঠায় এক বৃটিশ জাদুঘর। উত্তরে রেফারি রাইটজানিয়েছেন ওই ম্যাচে পল গ্যাসকয়েনকে দেখানো হলুদ কার্ডটি এখনও তার কাছেসযতনে রয়েছে। ওই হলুদ কার্ডটিই জাদুঘরে দিতে চান রেফারি রাইট। গতকাল ইংলিশদৈনিক গার্ডিয়ানকে রেফারি রাইট বলেন,আমি পরে জেনেছিলাম,সেই ঘটনা দেখেইংলিশ ফুটবল সমর্থকদের চোখও কান্নায় ভিজেছিলো। ঐতিহাসিক ওই ঘটনার অংশ হয়েআমার কাছে ভালোই লাগে। গার্ডিয়ানের কাছে সাক্ষাৎকারে অন্য কথাও শোনালেনরেফারি হোসে রবার্তো রাইট। ইংলিশ বংশোদ্ভূত  ব্রাজিলিয়ান রেফারি রাইট বলেন,সেদিন সত্যি আমি চাইছিলাম জার্মানিকে হারিয়ে ইংল্যান্ড ফাইনাল খেলুক। আমারপ্রপিতামহ একজন ইংলিশ ছিলেন বলে নয়, ফাইনালে রেফারির দায়িত্ব পেতে এমনটিচাইছিলাম আমি। আমার মনে হচ্ছিলো ফাইনালে ব্রাজিলের রেফারি দেখতে চাইবে নাজার্মানরা। জার্মানি পরপর হার মেনেছিল ১৯৮২ ও ১৯৮৬’র আগের দু ফাইনালে। দুফাইনালেই দায়িত্ব পালন করছিলেন ব্রাজিলিয়ান রেফারি। ৯০’র ফাইনালে যেতেপারতো ইংল্যান্ডই। কিন্তু টাইব্রেকারে ইংল্যান্ড তারকা ক্রিস ওয়াডলকেদেখলাম যেন  স্টেডিয়ামের বাইরে মারলেন তার পেনাল্টি শট।