জাতীয় দল নিয়ে ভাবছেন না লিটন

স্টাফ রিপোর্টার: বিসিবি হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দলের হয়ে সফল একটা সফর হলো লিটন দাসের। তার নেতৃত্বে ডারউইনের নর্দান টেরিটরিকে (এনটি) পাঁচটি একদিনের ম্যাচ ও একটি তিন দিনের ম্যাচ প্রতিটিতেই হারিয়েছে এইচপি দল। বিদেশের মাটিতে অধিনায়ক হিসেবে সাফল্যের তরিতে ভাসা—নতুন এক অভিজ্ঞতাই হলো লিটনের। সেই অভিজ্ঞতা কতটা মধুর ছিলো, সেটিই গতকাল  সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিলেন লিটন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে তো সবসময় খেলি। এবার অতিরিক্ত একটা দায়িত্ব ছিলো, অধিনায়কের দায়িত্ব সামলানো। এখানে পছন্দেরও একটা ব্যাপার থাকে। অধিনায়কত্ব মজার এক বিষয়। এবার এটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করেছি।’ এইচপি দল ধারাবাহিক জয় পেলেও খামতি আছে ব্যাটিং নিয়ে। পুরো সফরে সেঞ্চুরি পেয়েছেন দলের তিন ব্যাটসম্যান। সেই সংক্ষিপ্ত তালিকায় অবশ্য তিনি নেই। ব্যাটিং নিয়ে তাই একটু অতৃপ্তি লিটনের, ‘আমরা আরেকটু ভালো খেলতে পারতাম। তিনশর বেশি একটি ম্যাচেই করেছি। সুযোগও বেশি পাইনি। পরে ব্যাটিং করেছি দুই-তিন ম্যাচে। আরও কয়েকটা সেঞ্চুরি হলে ভালো হতো।’
অস্ট্রেলিয়া সফরে এইচপি দলের মূল উদ্দেশ্য ছিলো অনুশীলন। লিটনের দাবি, সেটি ভালোই হয়েছে, ‘অনেক কিছু শিখছি। ওখানকার উইকেট আর আমাদের উইকেট অনেক ভিন্ন। খেললে বোঝা যায়। আমাদের কন্ডিশনে ঘাম হয় বেশি। ১০ মিনিট খেললেও শরীরে প্রচুর ঘাম হয় কিন্তু ওখানে এটা হয় না। প্রচুর বাতাস থাকে। এটা অনেক সময় পক্ষে থাকে। আবার বিপক্ষেও চলে যায়। এসবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছি।’ যদিও প্রতিপক্ষ এনটি বিসিবি এইচপি দলের সমমানের ছিলো কি না, সে প্রশ্ন আছে। লিটন স্বীকার করে নিচ্ছেন, প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়েরা কেউই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলেননি, ‘প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ছিলো। হয়তো ওদের চুক্তিভুক্ত (ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার) খেলোয়াড়েরা ছিলো না। এদের ভেতরে যারা নর্দান টেরিটরির ভালো খেলোয়াড়, তারা খেলেছে আমাদের বিপক্ষে। আমাদের মান অনেক ভালো ছিলো। আমাদের প্রায় সবাই অনেক দিন ধরে খেলছি শীর্ষ পর্যায়ে। এই পর্যায়ে খেলা ওদের কেউ ছিলো না। আসলে ওদের চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়দের কেউই খেলতে পারছিলো না। সব মিলিয়ে পাঁচ-ছয়জন খুব ভালো ভালো খেলোয়াড় ছিলো।’ সফর তো ভালো হলো। তবে পরবর্তী ধাপ নিয়ে কী ভাবনাচিন্তা গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ রান করা লিটনের? এইচপি দলে ভালো করেই তো জাতীয় দলের দরকায় কড়া নাড়তে হয়। মূল জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে কী ভাবছেন তিনি? ২২ বছর বয়সী এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান অবশ্য জানালেন, দলে ফেরা নিয়ে এই মুহূর্তে তিনি ভাবছেন না।