চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি : ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ‘ফাইনাল’

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অষ্টম আসরের দশম ম্যাচে আজ স্বাগতিক ইংল্যান্ডের নিজেদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। এবারের আসরের সেমিফাইনালে খেলতে হলে ইংল্যান্ডকে হারানোর কোনো বিকল্প নেই অসিদের। যে কারণে ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়ার ‘ফাইনাল’ এ রূপ নিয়েছে। পক্ষান্তরে আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করায় টুর্নামেন্টে এ ম্যাচ থেকে ইংল্যান্ডের পাওয়ার কিছুই নেই। বরং সেমির আগে নিজেদের প্রস্তুত করার সুযোগ পাচ্ছে স্বাগতিকরা। বার্মিংহামে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটায় শুরু হবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটি।

বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের প্রথম দু ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টের প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র দল হিসেবে ইতোমধ্যে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। তাই গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি ইংল্যান্ডের জন্য মোটেও গুরুত্বপূর্ণ নয়। এজন্য এ ম্যাচটিকে সেমির প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়। তারপরও এ ম্যাচটি জিততে চান তিনি। কারণ হিসেবে রয় বলেন, ‘এ ম্যাচের ফল আমাদের কোনো ক্ষতি করবে না। তবে ম্যাচটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সেমিফাইনালের আগে নিজেদের নিয়ে আবারো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে। এ ম্যাচে জিতে পারলে, তা অনুপ্রেরণা হিসেবেই সেমিতে কাজে দিবে।’ ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে ইংল্যান্ড। ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে অস্ট্রেলিয়া। আর ১টি করে হার ও একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ১ পয়েন্ট করে সংগ্রহ করতে পারে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। তাই ইংল্যান্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ না হলেও, অস্ট্রেলিয়ার জন্য ম্যাচটি মহা-গুরুত্বপূর্ণ ও বাঁচা-মরার ম্যাচ। সেমিতে খেলতে হলে এ ম্যাচে জিততেই হবে তাদের। হেরে গেলে খালি হাতেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হবে অসিদের। বৃষ্টির কারণে যদি অস্ট্রেলিয়ার এই ম্যাচটিও পরিত্যক্ত হয়, তারপরও কোন সুযোগ থাকছে না তাদের। কারণ প্রথম দু’ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায়, রান রেটের খাতাই খুলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। সে ক্ষেত্রে আজকে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচের বিজয়ী দল পেয়ে যাবে সেমির টিকিট। তাই সেমিফাইনালের টিকিট পাওয়ার লক্ষ্যে এ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জয়ের স্বাদ পেতে মরিয়া জানিয়ে দলটির পেসার মিচেল স্টার্ক বলেন, ‘আমরা যখন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হই। তখনই আমাদের পারফরমেন্স বেরিয়ে আসে। এখনকার পরিস্থিতি আমাদের জন্য বেশ কঠিন। তাই আমরা জানি, চেষ্টা করলেই আমরা সেরাটা দিতে পারবো এবং সফলও হবো। অতীতেও আমরা এমন কাজ বহুবার করেছি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে আমাদের কি করতে হবে, তা সবাই জানে। নিজেদের দায়িত্বগুলো পালন করে অস্ট্রেলিয়াকে সেমিতে তুলতে মুখিয়ে আছে সবাই।’

বার্মিংহামের এডজবাস্টনে এখন পর্যন্ত ১১টি ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ৫টিতে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড ও ৩টিতে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দু’দল জয়ের দিক দিয়ে সমান-সমান। চারবার মুখোমুখি হয়েছে তারা। এর মধ্যে ২টি করে ম্যাচে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। তবে সব মিলিয়ে জয়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়াই। ওয়ানডে ফরম্যাটে দু’দল সর্বমোট মুখোমুখি হয়েছে ১৩৬ ম্যাচে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া জয় পায় ৮০টি ম্যাচে এবং ইংল্যান্ড জয় পায় ৫১টি ম্যাচে।