চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে উজ্জ্বল ‘অভিষেক’ তামিমের

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ২০০৭ বিশ্বকাপের ঠিক আগে তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। এ পর্যন্ত তিনটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে ফেললেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আগে কখনও খেলার সুযোগ হয় নি। হবে কী করে! ২০০৬ সালের পর এবারই যে প্রথম ওয়ানডের দ্বিতীয় সেরা টুর্নামেন্ট খেলছে বাংলাদেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অভিষেক হলো তামিমের। আর শুরুতেই চমক! ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভালে সেঞ্চুরির আনন্দে উদ্ভাসিত বাংলাদেশের সফলতম ব্যাটসম্যান।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এটা কোনও বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। আগের শতক ছিল শাহরিয়ার নাফীসের, ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৩। মঈন আলীর বল স্কয়ার লেগে সিঙ্গেল নিয়ে ‘ম্যাজিক ফিগার’ ছোঁয়া তামিমের এটা নবম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। শুরু থেকে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেললেও ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন বাংলাদেশের সেরা ওপেনার। মুখোমুখি হওয়া একাদশ বলে রানের খাতা খোলা তামিম হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৭২ বলে, ৭টি চারে। পরের ‘ফিফটি’ অবশ্য অনেক দ্রুত করেছেন, মাত্র ৫২ বলে। ১২৪ বলে সেঞ্চুরি করার সময় তামিমের নামের পাশে ছিল ১১টি চার ও একটি ছক্কা। ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে দুর্দান্ত সাফল্য তামিমের। ২০১০ সালের ইংল্যান্ড সফরে লর্ডস ও ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দুই টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। তবে ওই সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সাফল্য পান নি; ২৮, ১৮ ও ১৬ রান করেছিলেন। এবার সেঞ্চুরি করেই সব আক্ষেপ দূর করেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। শেষ পর্যন্ত তামিম থেমেছেন ১২৮ রানে, লিয়াম প্লাঙ্কেটকে তুলে মারতে গিয়ে জস বাটলারের গ্লাভসবন্দি হয়ে। ১৪২ বলের চমৎকার ইনিংসটা সাজানো ১২টি চার ও তিনটি দৃষ্টিনন্দন ছক্কায়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই তামিমের সেরা ওয়ানডে ইনিংস। আগের সেরা ছিল ১২৫, মিরপুরে ২০১০ সালে।