চায়নার স্বপ্ন ফিকে : টিকে থাকলো কাতারের

মাথাভাঙ্গা মনিটর: এশিয়ান জোন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে আহমাদ আল সালিহর শেষ মুহূর্তের গোলে চায়নার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে সিরিয়া। আর এর ফলে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে চাইনিজদের। গ্রুপের অপর ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৩-২ গোলে পরাজিত করে কিছুটা হলেও রাশিয়া বিশ্বকাপের স্বপ্ন টিকিয়ে রেখেছে কাতার। গ্রুপে এ পর্যন্ত খেলা ৮ ম্যাচে দ্বিতীয় জয়ের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল মার্সেরো লিপ্পির চায়না। কিন্তু ইনজুরি টাইমে আল সালিহর কার্লিং ফ্রি-কিকে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র হয়। হাতে রয়েছে আর মাত্র ২টি ম্যাচ। তৃতীয় স্থানে থেকে প্লে-অফ খেলা নিশ্চিত করতে হলে চায়নার সামনে সমীকরণটি অবশ্য বেশ কঠিন। বাকি দুটি ম্যাচে তো জিততেই হবে, একইসঙ্গে অপেক্ষায় থাকতে হবে অন্য দলগুলোর পরাজয়ের দিকে। ইতোমধ্যেই এই গ্রুপ থেকে ২০ পয়েন্ট নিয়ে রাশিয়ার টিকিট নিশ্চিত করেছে ইরান। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এক পয়েন্ট পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে এখনো প্লে-অফ পজিশন ধরে রেখেছে উজবেকিস্তান।

এদিকে গ্রুপ-বি’তে ইরাকের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও জাপানের সঙ্গে বেশ ভালই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ১৬ পয়েন্ট করে সংগ্রহ করা সৌদি আরব ও অস্ট্রেলিয়া।

এশিয়ান জোন বাছাইপর্বে মঙ্গলবারের রাতটি ছিল মূলত সাম্প্রতীক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে গুরুতর রাজনৈতিক সমস্যা জর্জরিত কাতারের ম্যাচটিকে ঘিড়ে। দোহায় নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপের নিয়মিত অংশগ্রহণ করা দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে কাতারের এই জয় অনেকটাই স্বস্তি এনে দিয়ে দেশটিতে। আট ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। ৭ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে থাকা কাতার এখনো তৃতীয় স্থানে স্বপ্ন দেখতেই পারে। দুই গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সরাসরি মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। তৃতীয় স্থানে থাকা দলগুলোকে নিয়ে পরবর্তীতে প্লে-অফ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচের ২৫ মিনিটে আল হাইদোর দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে এগিয়ে যায় স্বাগতিক কাতার। এরপর ৫১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন আকরাম আফিফ। এই গোলের যোগানদাতা ছিলেন আল হাইদো। কিন্তু ৬২ ও ৭০ মিনিটে কি সুং-ইয়েং ও হোয়াং হি-চ্যাংয়ের দুই গোলে দারুনভাবে ম্যাচে ফিরে আসে কোরিয়া। তবে চার মিনিট পরেই রডরিগো তাবাতার সহযোগিতায় আল হাইদো নিজের দ্বিতীয় গোল করলে দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ২০২২ বিশ্বকাপের স্বাগতিকরা।