চট্টগ্রাম টেস্টে ১৭ রানে পিছিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে বিকালে আলোর স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়ে গেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা কোনো উইকেট না হারিয়ে ২০.১ ওভারে ৬১ রান সংগ্রহ করে। বাংলাদেশের চেয়ে এখনো ১৭ রান পিছিয়ে আছে সফরকারীরা। বিকেলে বৃষ্টি বাগড়া দেয়ায় দ্বিতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরু থেকেই সতর্কভাবে খেলে বিনা উইকেটে ৬১ রান করেছে। ভন জিল ৩৩ এবং এলগার ২৮ রান নিয়ে ক্রিজে টিকে আছেনে এ দু বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকালে ৪ উইকেটে ১৭৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে অলআউট হওয়ার আগে ৩২৬ রান করে স্বাগতিকরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটি টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।  ২০০৮ সালে এই মাঠেই  ২৫৯ রান ছিলো আগের সর্বোচ্চ স্কোর। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আগের দিনের চার উইকেটে ১৭৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে সাকিব-মুশফিক। তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে ১৬ রান যোগ করতেই প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা। আগের দিনের ব্যক্তিগত ১৬ রানের সাথে মাত্র ১২ রান যোগ করে ২৮ রানে আউট হন মুশফিক। এরপর সাকিব আল হাসান এবং লিটন দাস বড় লিডের স্বপ্ন দেখায় বাংলাদেশকে। কিন্তু সাকিব ৪৭ রানে আউট হলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সাকিব আর লিটনের জুটিতে আসে ৮২ রান। সাকিব আউট হলে লিটনের সাথে জুটি বাধেন শহীদ। তিনি ওয়ানডে স্টাইলে দ্রুত ব্যাট করে ২৫ রান করে আউট হন। এরপর লিটন দাস তার ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশত রান করে আউট হলে খুব দ্রুতই অলআউট হয় টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩২৬ রান করলে ৭৮ রানের লিড পায় তামিম-মুশফিকরা। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে  স্টেইন ও হার্মার ৩টি, ফিলিন্ডর ২টি, এলগার ও ভন জিল ১টি করে উইকেট লাভ করেন।  প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৮ রানে অলআউট হয়।

গত বুধবার দুদফা বৃষ্টির কারণে ২৫ ওভার আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় সেশনের খেলা। ফলে ৬৯ রানে পিছিয়ে থেকেই দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। গত বুধবার ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনেই ব্যাট করে টাইগার দুওপেনার তামিম-ইমরুল। কিন্তু ভন জিলের লেগস্ট্যাম্পের বাইরের বলে টাইমিং মিস করে ২৬ রানে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফিরে যান ইমরুল কায়েস। এরপর সিমন হার্মারের বলে দায়িত্বজ্ঞানহীন শটে ৬ রানে ফিরে যান স্বাগতিকদের টেস্ট ভরসা মুমিনুল হক। মুমিনুলের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহর সাথে ৮৯ রানের জুটি গড়ে দ্রুত দু উইকেট হারানোর চাপ সামলে নেন তামিম। তবে ডিন এলগারের বলে সুইপ করতে যেয়ে ৫৭ রানে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তামিম ইকবাল (৫৭)। আউট হওয়ার আগে তুলে নেন নিজের ক্যারিয়ারের ১৮তম অর্ধশত। আর বৃষ্টির ঠিক আগ মুহূর্তে ফিলিন্ডারের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ (৬৭)। আউট হওয়ার আগে তিনিও ক্যারিয়ারের ১২তম অর্ধশত পূরণ করেন।