গেরেরোর হ্যাটট্রিকে শেষ চারে পেরু

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কেউ পেরুকে নম্বর দেয়নি। বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যদ্বাণী ছিলো, গ্রুপেই বিদায় হবে তাদের। কিন্তু টুর্নামেন্ট যত এগিয়েছে, ততো প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যদি কোনও দলের পাশে ‘কা‌লো ঘোড়ার’ তকমা পড়া উচিত তা হলে তারা পেরুই। গত বৃহস্পতিবার ভোরে বলিভিয়াকে ৩-১ হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠলো পেরু। হতে পারে পেরুর তুলনায় বলিভিয়া দুর্বল দল। তবে ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিল রিকার্ডো গারেসার দল।

সবার আশঙ্কা ছিলো একটা ঘুম পাড়ানি ম্যাচ দেখতে চলেছে তারা। কিন্তু হল ঠিক উল্টোটা। বেশ ওপেন একটা খেলা হল। মোট চার গোল যেমন হল, তেমনই দুই দলই আক্রমণ করতে ভয় পেল না। প্রথমার্ধের শুরু থেকেই দুদল আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে শুরু করে। তবে ২০ মিনিটের মধ্যে প্রথম গোলটা পায় পেরু। ভারগাসের দুর্দান্ত ক্রসের সৌজন্যে পাওলো গেরেরো হেড দিয়ে ১-০ করেন। এর কিছুক্ষণ পরে ব্যবধান বাড়ায় পেরু। প্রতি আক্রমণে কুয়েভার পাসে সেই গেরেরোই নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। জেফারসন ফারফানের দুটো শট আবার বারপোস্টে গিয়ে লাগে। বিরতির পরেও বদলায়নি দৃশ্যপট। ম্যাচ যতো এগিয়েছে ততই আক্রমণ বাড়িয়েছে পেরু। বলিভিয়াও সেট পিস থেকে বেশ কিছু ভাল সু্যোগ তৈরি করে। তবে তৃতীয় গোলটা পেয়ে ম্যাচ একতরফা লড়াইয়ে পরিণত করে পেরু। এরই মধ্যে চলতি টুর্নামেন্টে প্রথম হ্যাটট্রিকটাও সেরে ফেললেন গেরেরো। বিপক্ষ ডিফেন্ডারের ভুল পাসের সৌজন্যে মাথা ঠাণ্ডা রেখে ফিনিশ করেন গত বারের গোল্ডেন বুট জয়ী ফুটবলার। ম্যাচে মোট ২৭টি গোলমুখি শট মারা পেরু আরও হয়তো গোল করতে পারত, তবে তি‌ন গোলে এগিয়ে একটু রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে দল। ম্যাচের শেষের দিকে পেনাল্টি থেকে বলিভিয়ার মোরেনো গোল করলেও তা সান্ত্বনা পুরস্কার ছাড়া কিছু ছিলো না।

কোপা আমেরিকার ইতিহাসে দুবার (১৯৩৯ ও ১৯৭৫) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পেরু। তৃতীয় বার ট্রফি জেতার লড়াইয়ে এ বার পেরুর সামনে সেমিফাইনালে অপেক্ষা করছে চিলির মতো শক্তিশালী দল। যে দল গোটা টুর্নামেন্টে ভাল ছন্দে আছে। ঘরের মাঠে ঘরের সমর্থকদের সামনে চিলিকে হারিয়ে পেরু চমকে দিতে পারে কি না এখন সেটাই দেখার।