কোহলির সেঞ্চুরিতেও ভারতের পরাজয়

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ৪৮ বলে দরকার ৭০। ক্রিকেটের মারকাটারি এ যুগে খুব কঠিন সমীকরণ কি? হিসাব বলছে খুব কঠিন নয়। সেটি আরও সহজ হয়ে যাওয়ার কথা উইকেটে যখন ১০৯ রানে ব্যাট করছেন বিরাট কোহলি আর ৪০ রানে মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতের হাতে ছয়-ছয়টি উইকেট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের টানা সপ্তম জয়ের দিকেই তখন হেলে আছে ম্যাচের পাল্লা। সবচেয়ে বড় কথা, কোহলি সেঞ্চুরি করেছেন আর ভারত ম্যাচ হেরেছে, আগের ১৭ সেঞ্চুরির মধ্যে মাত্র একবারই ঘটেছে এমনটা। কিন্তু ৬ বলের মধ্যে পাল্টে গেল দৃশ্যপট। পাল্টে ফেললেন মিচেল ম্যাকক্লেনাঘান। ২৪ রানের জয় দিয়ে সিরিজের শুভসূচনা করল কিউইরা। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া বোলিং, সব মিলিয়ে ৬৮ রানে ৪ উইকেট। তার পরও কিন্তু ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠেনি ম্যাকক্লেনাঘানের হাতে। সেটি পেয়েছেন ক দিন আগে দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড হাঁকানো কোরি অ্যান্ডারসন। নিউজিল্যান্ড যে ৭ উইকেটে ২৯২ রান তুললো, সেটা মূলত তাঁর সৌজন্যেই। কেন উইলিয়ামসন ৭১ করেছেন। রস টেলর ৫৫। ৩২ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর এই দুজনের ১২১ রানের জুটিও গড়ে দিয়েছিল ভিত্তি। কিন্তু সেই ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে আসল প্রাসাদ নির্মাণ করেছেন অ্যান্ডারসনই। তাঁর ৪০ বলে ৩টি চার ও ৪ ছক্কায় খেলা ৬৮ রানের ইনিংসটাতে ভর করেই শেষ দশ ওভারে ৯০ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। লুক রনকির ১৮ বলে ৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংসটাও রেখেছে বড় ভূমিকা। ২৯৩ রানের লক্ষ্য অবশ্যই কঠিন। সেটি ভারতের জন্য আরও কঠিন মনে হচ্ছিল পরিসংখ্যানের কারণে। নিউজিল্যান্ডে এর আগে পরে ব্যাট করে সর্বোচ্চ ২৫২ রান করে জিতেছিল ভারত, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটি শোচনীয়ই। সেটি ২১৪ রানের। কিন্তু মনে হচ্ছিল আজ নতুন করেই পরিসংখ্যানের পাতা কিছু যোগ করতে চায় ধোনির দল। বিশেষ করে কোহলি যখন ছিলেন ভীষণ আত্মপ্রত্যয়ী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলো না ম্যাকক্লেনাঘানের ওই ৬ বলের হিসাব পাল্টে দেওয়া স্পেলটায়। তবে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও দুটো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হলেন অ্যান্ডারসন।