কেঁদে মাঠ ছাড়লেন সুয়ারেস

মাথাভাঙ্গা মনিটর: শিরোপার কাছে যেতে যেতে হোঁচট খেলো লিভারপুল। লুইসসুয়ারেস বুঝে গেছেন,শেষ বেলার এ হোঁচট থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ট্রফি হাতে নেয়াহয়তো আর সম্ভব নয়। লিগ শেষ না হতেই তাই হতাশা গ্রাস করেছে তাকে। ক্রিস্টালপ্যালেসের সাথে ড্র করার পর চোখের জলে মাঠ ছেড়েছেন তিনি।রেফারি শেষ বাঁশি বাজালেন। নিজেদের মাঠে পরাশক্তি লিভারপুলের সাথে ড্রকরার আনন্দে মেতে ওঠে ক্রিস্টাল প্যালেসের খেলোয়াড়রা। মাঠের অন্য পাশে তখনসুয়ারেস-জেরার্ডদের চেহারা ছেয়ে ফেলেছে রাজ্যের অন্ধকার।নিজেকে আরসামলাতে পারেননি দারুণ এক গোল করে এদিনই প্রিমিয়ার লিগে (৩৮ ম্যাচের মরসুম)সর্বোচ্চ ৩১ গোলের অ্যালান শিয়েরার ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর রেকর্ড ছোঁয়াসুয়ারেস। হাত-পা ছেড়ে দিয়ে মাঠে বসেই কাঁদতে শুরু করেন তিনি।সতীর্থদেরসান্ত্বনাও থামাতে পারছিলো না উরুগুয়ের স্ট্রাইকারকে। শেষ পর্যন্ত জার্সিতেমুখ ঢেকে কান্না লুকানোর চেষ্টা করেন তিনি। মাঠও ছাড়েন সেভাবেই।৭৮মিনিট পর্যন্ত ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকার পরও সোমবার ক্রিস্টালের মাঠ থেকে ৩-৩গোলের ড্র নিয়ে ফেরার পর লিভারপুল কোচ ব্রেন্ডন রজার্সেরও মনে হচ্ছে,শিরোপা জয় আর সম্ভব নয়। ২৪ বছর পর লিগ শিরোপা জয়ের যে সম্ভাবনা জেগেছিলো,সেটা হয়তো এখানেই শেষ হয়ে গেল!ম্যাচ শেষে তিনি একরম ঘোষণাই করে দিলেন,এবারের প্রিমিয়ার লিগ জিতবে ম্যানচেস্টার সিটি।
অ্যাস্টনভিলা হয়তো এ মরসুমে বরাবরের মতো ম্যানচেস্টার সিটির কাজটা কঠিন করে দেবে।তবে সবাইকে আমি সিটির স্কোয়াডের দিকে তাকাতে বলবো। বাকি কাজটুকু করে ফেলারসামর্থ্য ওদের আছে।ক্রিস্টালের বিপক্ষে ম্যাচের পর ৩৭ ম্যাচে ৮১পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে লিভারপুল। তবে এক ম্যাচ কম খেলা ম্যান সিটির পয়েন্ট৮০। বাকি দুটি ম্যাচ জিতলেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা উঠবে তাদেরহাতে। আর ম্যান সিটি একটি ম্যাচে হেরে গেলেই কেবল সম্ভাবনা থাকবেলিভারপুলের। এ হিসেবে পুরো বিষয়টিই এখন ম্যান সিটির হাতে।ম্যাচ শেষে রজার্স এ বিষয়টিকেই তুলে ধরেছেন।গত (সোমবার) জিতলে আমরা ওদের চাপে রাখতে পারতাম। আর এখন পুরো বিষয়টিই সিটির হাতে।