কুলিং ব্রেকজিতিয়েছে হল্যান্ডকে?

মাথাভাঙ্গা মনিটর: অনেক ‘প্রথমে’র দেখা মিলেছে এবারের বিশ্বকাপে। ভ্যানিশিং ফোম, গোললাইনপ্রযুক্তির পর হল্যান্ড-মেক্সিকো ম্যাচে ‘পানি পানের বিরতি’ বা ‘কুলিংব্রেক’! ক্রিকেটে এ বিরতির চল থাকলেও ফুটবলে এতোদিন ছিলো না। ডাচ কোচ লুই ফনগাল জানিয়েছেন,হল্যান্ডের জয়ের পেছনে এ কুলিং ব্রেকের আছে বিরাট অবদান!

ফোর্তালেজায়কাল তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছিলো। অসহনীয় তাপমাত্রায়কুলিং ব্রেক তাই অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছিলো। পর্তুগিজ রেফারি পেদ্রো প্রোয়েনকারদেয়া দুটি ‘কুলিং ব্রেক’কে আশীর্বাদই মনে করছে হল্যান্ড। ৭৬ মিনিটে দেয়াবিরতির সুযোগে ছক বদলে ফেলার কাজটি সেরি ফেলেছিলেন কোচ ফন গাল। ডাচ কোচেরমুখে তাই সেই বিরতির স্তুতি, ‘বিরতির সুযোগে খেলার ছক ৪-৩-৩ করে ফেলেছিলাম।এতে প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হলো। লক্ষ্যে প্রচুর শট নিলো খেলোয়াড়েরা। তবেসেগুলো দারুণভাবে প্রতিহত করা হয়েছে (সেভ করেছেন ওচোয়া)। তখন প্ল্যান-বিপ্রয়োগ করলাম। বিরতির সময়েই প্ল্যান বি তৈরি ছিলো। বিরতিকে দারুণভাবে কাজেলাগিয়েছি।হল্যান্ড শুরু করেছিলো বহুল আলোচিত ৩-৫-২ ছকে।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল খেয়ে বসে তারা। ফন গাল বললেন, যখন এটি (৩-৫-২)কাজ করছিলো না,তখন পরিবর্তন আনা দরকার ছিলো। ফলে আমি কুলিং ব্রেকের জন্যঅপেক্ষা করছিলাম।মেক্সিকোর রক্ষণভাগ ফাটল ধরাতে ৪-৩-৩ ছকে আরিয়েন রোবেনচলে যান ডান প্রান্তে,বাঁ প্রান্তে ছিলেন বদলি নামা মেম্ফিস ডিফাই। আরমাঝে রবিন ফন পার্সি। ফন গালের টোটকাটা শেষ অবধি লেগেই গেল!ফিফারনিয়ম অনুযায়ী,কোনো ম্যাচ চলার সময় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরেগেলে দেয়া হবে এ বিরতি। প্রথমার্ধের ৩২ মিনিটের মাথায় তিন মিনিটের বিরতিদেন পর্তুগিজ রেফারি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৭৬ মিনিট পরে দেওয়া হয় আরেকটিকুলিং ব্রেক।