ওয়ালশের ক্লাসে মুস্তাফিজ

 

স্টাফ রিপোর্টার: সকালের রানিং আর জিম সেশন তখন শেষ। ফিটনেস ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটারদের কেউ কেউ তখন বিশ্রাম নিচ্ছেন। কেউ বা আরেকটু সময় কাটাচ্ছেন জিমে। একাডেমি মাঠে নিজের মত করে ব্যাটিং-বোলিং করছেন কেউ কেউ। একমাত্র একজনই কেবল তখন আলাদা। মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন ইনডোরের পাশের নেটে। তার সঙ্গে কোর্টনি ওয়ালশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মুস্তাফিজের সঙ্গে বেশ অনেকটা সময় কাটালেন ওয়ালশ। কাজ করলেন একান্তে ও নিবিড়ভাবে। বাঁহাতি পেসারকে নিয়ে আগের দিনও সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশের বোলিং কোচ। আলাদা করে কাজ করবেন আরও কিছুদিন। কাজের উদ্দেশ্য, ধরন বা এই জাতীয় কিছুই বিশদ বলতে চাইলেন না দুজনের কেউ। ওয়ালশ শুধু এটুকু বললেন, ‘সবকিছুই ঠিকঠাক চলছে। ওর উন্নতি হচ্ছে ভালোভাবেই।’ বাইরে থেকে দেখে যতোটুকু বোঝা গেল, দিনের সেশনে মুস্তাফিজকে বোলিং ক্রিজের ব্যবহার দেখাচ্ছিলেন ওয়ালশ। এক দফায় মুস্তাফিজ বোলিং করেছেন স্টাম্প থেকে একটু দূরে। পরে স্টাম্পের কাছে। ডান হাতি ব্যাটসম্যানের জন্য ভেতরে ঢোকানো ডেলিভারি নিয়েও কাজ করতে দেখা গেল। ডেলিভারি স্ট্রাইডে সামনে পায়ের অগ্রভাগ কোন মুখী থাকবে, সেসময় হাত ও মাথার অবস্থান কোথায় থাকবে এবং কাঁধ কতোটুকু ঝুঁকবে, মুস্তাফিজকে সেসব বারবার দেখিয়ে দিচ্ছিলেন ওয়ালশ। মুস্তাফিজ বোলিং করেছেন ছোট্ট রান আপে, কয়েকটি পদক্ষেপে। স্রেফ ডেলিভারির জন্য অ্যাকশন রপ্ত করা আর জায়গামতো বল ফেলাই ছিলো চাওয়া। কাঁধের অস্ত্রোপচার থেকে ফেরার পর শুরুর সেই সেরা চেহারায় খুব একটা দেখা যায়নি মুস্তাফিজকে। নিউজিল্যান্ডে দুই ওয়ানডেতে চার উকেট নিলেও চেনা ছন্দে দেখা যায়নি। এরপর শ্রীলঙ্কা সফরে অবশ্যই ভালোই করেছেন। ৩ ওয়ানডেতে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। যদিও নিজের মানে ছিলেন খরুচে। শেষ টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য ৪ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়াও ১৫ জন পেসারকে নিয়ে শিগগিরই শুরু হবে পেস বোলিং ক্যাম্প।