ওদের হারাতে পারছে না কেউ

 

স্টাফ রিপোর্টার: আবারও দেশের দ্রুততম মানব-মানবী হলেন ওরা দুজন। দুজনই বিকেএসপির সাবেক অ্যাথলেট। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৩তম জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকসে দ্রুততম মানব হয়েছেন মেজবাহ আহমেদ। দ্রুততম মানবীর নামটাও নতুন নয়—শিরিন আক্তার।

জাতীয় স্তরে মেজবাহর এটি টানা ষষ্ঠ শিরোপা। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ গেমস দিয়ে এক শ মিটার স্প্রিন্টে তার শুরু। তারপর তিনটি জাতীয় মিট ও দুটি সামার মিটে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখলেন। এক শ মিটারে শিরিনের এটি টানা পঞ্চম শিরোপা। তিনটি জাতীয় মিট ও দুটি সামার মিটে নিজেকে সবার ওপরে রাখলেন শিরিন।
আজ হাতঘড়িতে মেজবাহর টাইমিং হয়েছে ১০.৮০ সেকেন্ড। কদিন আগে ভারতের ভুবনেশ্বরে এশিয়ান ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ইলেকট্রনিকস বোর্ডে তাঁর টাইমিং ছিলো ১০.৮৮। হাতঘড়িতে এর আগে সেরা টাইমিং করেছেন ১০.৭২। আগামী মাসের শুরুতে লন্ডনে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে টাইমিংয়ে উন্নতির কথাই বললেন আজ, ‘বিশ্বাস করি ভালো সুযোগ-সুবিধা পেলে আমার পক্ষে আরও ভালো টাইমিং করা সম্ভব। লন্ডনে সেই চেষ্টাই করব।’ শিরিনও তার সেরা টাইমিং করতে পারেননি গতকাল (১২.৩০)। যদিও ইলেকট্রনিকস বোর্ডে তার ব্যক্তিগত সেরা ১১.৯৯, হাতঘড়িতে ১১.৮৪। এমন টাইমিং নিয়ে এসএ গেমসে সোনা জেতা দূরে থাক, মেয়েদের স্প্রিন্টে পদক জেতাই কঠিন। সেই স্বপ্ন অ্যাথলেটিকস অঙ্গনের কেউ আসলে দেখে না। তবে শিরিন দেখছেন, ‘ভালো প্রশিক্ষণ নিতে পারলে আগামী এসএ গেমসে সোনা জিততে চাই।’