ইস্ট বেঙ্গলকে উড়িয়ে ফাইনালে শেখ জামাল

মাথাভাঙ্গা মনিটর: গ্যালারিতে বাঁধা পাশাপাশি দুটি পতাকা। একটি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের, অন্যটি বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। কোলকাতার যুবভারতী সল্টলেক স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে জাতীয় পতাকা মাথায় বেধেও দাঁড়িয়ে ছিলেন বাংলাদেশের এক দর্শক। কোলকাতায় গতকাল বাংলাদেশের পতাকা দারুণভাবেই ওড়াল ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তারা আইএফএ শিল্ডের সেমিফাইনালে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে কোলকাতার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ইস্ট বেঙ্গলকে। তিন বিদেশি এমেকা, সনি নর্দে ও ওয়েডসন করেছেন গোল তিনটি। ১৫ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে শেখ জামালের প্রতিপক্ষ হবে কোলকাতা মোহামেডান ও ইউনাইটেড স্পোর্টসের জয়ী দল। এ প্রথম কোলকাতার মাটিতে কোনো বাংলাদেশি ক্লাবের কাছে হারলো ইস্ট বেঙ্গল। আইএফএ শিল্ডের গ্রুপ পর্বে শেখ জামাল আগেই হারিয়েছে কোলকাতার শক্তিশালী ক্লাব মোহনবাগানকে। এবার ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে কোলকাতায় বাংলাদেশের ফুটবলের বিজ্ঞাপনটা ভালোমতোই তুলে ধরেছেন মামুনুলরা। ম্যাচের  শুরু থেকেই আক্রমণে গেছে শেখ জামাল। তবে প্রথম গোলটি এসেছে ২৩ মিনিটে। ওয়েডসনের ক্রস থেকে মাথা ছুঁয়ে অসাধারণ গোলটি করেন এমেকা। ৩৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সনি নর্দে। এমেকার পাস থেকে বল নিয়ে কোলকাতার মাঠমাতানো এ হাইতিয়ান বাম পায়ের কোনাকুনি শটে দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন ওয়েডসন। গতকাল আসলে ইস্টবেঙ্গলকে পুরোপুরি নাচিয়ে ছেড়েছে শেখ জামাল। ম্যাচও যেন এ তিন গোল হজমের পরপরই শেষ হয়ে গেছে। ইস্ট বেঙ্গলের ছন্নছাড়া ফুটবলের বিপরীতে শেখ জামাল খেলেছে শিল্পীত ফুটবল। শেখ জামাল কোচ জোসেফ আপুসি খেলিয়েছেন ৪-৩-৩ ফরমেশনে। আর আর্মান্দো কোলাসো খেলিয়েছেন ৪-৪-১-১ ছকে। কিন্তু কোনো কৌশলই কাজে আসেনি তার। ম্যাচের একেবারে শেষ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন ইস্ট বেঙ্গলের অর্ণব মণ্ডল।  শেখ জামাল ধানমন্ডি একাদশ: হিমেল, দিদারুল, ইয়ামিন মুন্না, সোহেল, নাসির, লিঙ্কন, ইয়াসিন, মামুনুল, সনি, ওয়েডসন, এমেকা (আলী)।