ইনিংস ব্যবধানে জিতে ক্লার্কের শেষ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইনিংস ব্যবধানের জয় দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাইকেল ক্লার্ক। আগেই অ্যাশেজ খুইয়ে বসা অস্ট্রেলিয়া শেষ টেস্টে জিতেছে ইনিংস ও ৪৬ রানে। প্রথম চার টেস্টের তিনটিই জিতে আগেই অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করা নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। তারা সিরিজ জিতেছে ৩-২ ব্যবধানে। এ ব্যবধানে ইংল্যান্ড অ্যাশেজ জিতেছিলো সর্বশেষ সেই ১৯০২-০৩ মরসুমে। সিরিজের কোনো ম্যাচই পাঁচ দিনে গড়ায়নি। টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ৫ ম্যাচের সিরিজে একটি টেস্টও গড়ালো না পঞ্চম দিনে!

ম্যাচের ভাগ্য নিয়ে সংশয় ছিলো না খুব একটা। ইংল্যান্ড লড়ছিলো ইনিংস পরাজয় এড়াতে। অস্ট্রেলিয়াকে আরেকবার ব্যাট করাতে দিনের শুরুতে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিলো ১২৯ রান, হাতে ছিলো ৪ উইকেট। আগের দিনের দু অপরাজিত ব্যাটসম্যানকে দিনের শুরুতেই তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। মার্ক উডকে ফেরান (৬) পিটার সিডল, জস বাটলারকে (৪২) ফেরান মিচেল মার্শ। অস্ট্রেলিয়ার অগ্রযাত্রা থমকে দেয় বৃষ্টি। খেলা বন্ধ ছিলো প্রায় তিন ঘন্টা। বৃষ্টির পর ঝটপট স্টুয়ার্ট ব্রড (১১) ও মইন আলীকে (৩৫) ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে গুটিয়ে দেন সিডল। ৮ মাস পর টেস্ট খেলতে নামা এ পেসার ৩৫ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নাথান লায়ন ও মিচেল মার্শ। আর মিচেল জনসন ও স্টিভেন স্মিথ ১টি করে উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট ২৮৬ রানে। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করেছিলো ৪৮১ রান।

জবাবে ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১৪৯ রানে। অধিনায়ক হিসেবে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষকে ফলোঅন করান ক্লার্ক। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্টের পর প্রথমবার ইনিংস ব্যবধানে জিতলো অস্ট্রেলিয়া। অ্যাশেজে ইনিংস ব্যবধানে সবশেষ তারা জিতেছিলো ২০০৯ সালের হেডিংলি টেস্ট। নেতৃত্বের ৪৭ টেস্টে ২৪ জয় নিয়ে ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন মাইকেল ক্লার্ক। এ টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ক্রিস রজার্সও।