ইংল্যান্ডকে ধ্বংসস্তূপ বানাল দক্ষিণ আফ্রিকা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: জনি বেয়ারস্টো বলটা ঠেকাতেই করতালিতে ফেটে পড়ল লর্ডস। মনে হতে পারে, খুব বড় কিছু বোধ হয় করে ফেলেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। বড় কিছু না হোক কিছু একটা করেছেন অবশ্য, কাগিসো রাবাদার হ্যাটট্রিক ঠেকিয়েছেন বেয়ারস্টো। ওতেই সান্ত্বনা খুঁজে নিলো দর্শকেরা। ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা যে উল্লাসের কোনো সুযোগই দিচ্ছেন না তাদের। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের তোপে থর থর করে কাঁপছে ইংল্যান্ড। ২০ রানেই ৬ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিক দল। সেই ধাক্কা কিছুটা সামলে নেয়া যায়। কিন্তু পুরো সামলে নেওয়া কঠিন। সপ্তম উইকেটে ৬২ রানের জুটিটার পরও তাই ধুঁকছে ইংল্যান্ড। ২০ ওভার শেষে তাদের স্কোর ৭ উইকেটে ৮৩। দুই ম্যাচে হারার ঝাল যেন এক ম্যাচেই মিটিয়ে নিতে চাইছে দক্ষিণ আফ্রিকা!
আগের ম্যাচেই হাতের মুঠোয় চলে আসা ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা হেরেছে। ২ রানের হার, সঙ্গে মৃদু স্বরে হলেও বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ—দক্ষিণ আফ্রিকাকে যেন তাতিয়েই দিল এসব ঘটনা। প্রথম ওভারেই জেসন রয়কে ফেরালেন রাবাদা। পরের ওভারে ওয়েইন পারনেলের দুর্দান্ত এক ইনসুইঙ্গারে এলবিডব্লু হলেন জো রুট। পারনেলই পরের ওভারে ফেরালেন এউইন মরগানকে।

পরের বলেই ফিরলেন অ্যালেক্স হেলস। একজন পেসারের স্বপ্নের এক ডেলিভারিতে স্লিপে হেলসকে আমলার তালুবন্দী করলেন রাবাদা। ১৫/৪ থেকে ২০/৬ হয়ে গেল ওই রাবাদার পেসেই। পর পর দুই বলে জস বাটলার ও আদিল রশিদকে ফাফ ডু প্লেসির ক্যাচ বানালেন। পাঁচ ওভারেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপ ইংলিশ ব্যাটিং। প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ৫০ এর নিচে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়লো ইংল্যান্ড। তবে ডেভিড উইলিকে নিয়ে সে শঙ্কা কাটিয়ে উঠলেন বেয়ারস্টো। তবে সেই জুটি ভেঙে পারনেল ইংল্যান্ডকে ১০০-র নিচে অলআউট করার সম্ভাবনা আবার জাগিয়ে তুলেছেন।