আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে পাকিস্তান

মাভাঙ্গা মনিটর: সরফরাজ আহমেদের প্রথম শতকে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছেছে পাকিস্তান। সাবেক চ্যাম্পিয়নদের কাছে ৭ উইকেটে হেরে ওয়ানডের সেরা টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে সহযোগী দেশটি। আগামী শুক্রবার অ্যাডিলেইডে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলবে পাকিস্তান। ‘বি’ গ্রুপে চতুর্থ স্থানে থেকে কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছেছে আগের ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৬ উইকেটে হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগামী শনিবার ওয়েলিংটনে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলবে তারা। উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের শতকে দৃঢ় ভিত পেয়েছিল আয়ারল্যান্ড। কিন্তু শেষের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি তারা। শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে ২৩৭ রান করে আয়ারল্যান্ড। আহমেদ শেহজাদ ও সরফরাজের শতরানের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো সূচনা পাওয়া পাকিস্তানকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ৪৬ ওভার ১ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে টানা চতুর্থ জয় তুলে নেয় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। আগের পাঁচ ম্যাচে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটিতে সব মিলিয়ে ৫২ রান সংগ্রহ করে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে সেই উদ্বোধনী জুটিই পথ দেখায় এশিয়ার দলটিকে। শেহজাদের সঙ্গে ১২০ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন সরফরাজ। স্টুয়ার্ট টম্পসনের বলে শেহজাদ এড জয়েসের তালুবন্দি হলে ভাঙে ২২.৪ ওভার স্থায়ী জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগের ম্যাচে সরফরাজের ৪৯ বলে খেলা ৪৯ রানের ইনিংস শেষ হয় রান আউট হয়ে। এবার তার ভুলে রান আউট হয়ে যান দলে ফেরা হারিস সোহেল। ৬ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারালেও আয়ারল্যান্ডকে চেপে বসতে দেয়নি পাকিস্তান। সরফরাজ ও মিসবাহ-উল-হকের দায়িত্বশীল ব্যাটিং তাদের জয়ের পথে নিয়ে আসে। মিসবাহ হিট উইকেট হলে ভাঙে ৮৩ বল স্থায়ী ৮২ রানের জুটি। বাকি কাজটুকু উমর আকমলকে নিয়ে সহজেই সারেন সরফরাজ। শেষ পর্যন্ত ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২০০৭ সালের আসরে ইমরান নাজির শেষবার পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপে শতক করেছিলেন। ম্যাচ সেরা সরফরাজের ১২৪ বলের ইনিংসটি ৬টি চারে গড়া। এর আগে রোববার অ্যাডিলেইড ওভালে টস জিতে ব্যাট করতে নামা আয়ারল্যান্ডের ইনিংস গড়ে উঠে অধিনায়ক পোর্টারফিল্ডকে ঘিরে। অন্য প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ছোট-ছোট জুটি গড়ে সহযোগী দেশটিকে এগিয়ে নিতে থাকেন তিনি। আয়ারল্যান্ডকে এক সময়ে ৪ উইকেটে ১৮২ রানের দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড় করান পোর্টারফিল্ড। শতরান করে অধিনায়কের বিদায় দিয়ে সহযোগী দেশটির ছন্দপতনের শুরু হয়। ওয়ানডেতে সপ্তম শতক পাওয়া পোর্টারফিল্ড ফিরেন ১০৭ রান করে। তার ১৩১ বলের ইনিংসটি ১১টি চার ও ১টি ছক্কা সমৃদ্ধ। পোর্টারফিল্ডের বিদায়ের পর ৫৫ রান যোগ করতেই শেষ পাঁচ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। শেষ ১০ ওভারে মাত্র ৪৯ রান সংগ্রহ করে তারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: আয়ারল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৩৭ (পোর্টারফিল্ড ১০৭, স্টার্লিং ৩, জয়েস ১১, নায়াল ১২, বালবারনি ১৮, উইলসন ২৯, কেভিন ৮, টম্পসন ১২, মুনি ১৩, ডকরেল ১১, কুসাক ১*; ওয়াহাব ৩/৫৪, সোহেল ২/৪৪, রাহাত ২/৪৮, হারিস ১/২০, এহসান ১/৩১)

পাকিস্তান: ৪৬.১ ওভারে ২৪১/৩ (শেহজাদ ৬৩, সরফরাজ ১০১*, হারিস ৩, মিসবাহ ৩৯, আকমল ২০*; কুসাক ১/৪৩, টম্পসন ১/৫৯)। ম্যাচ সেরা: সরফরাজ আহমেদ।