আশা জাগিয়েও হারলো বাংলাদেশ

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট হাতে দুর্দান্তই জবাবই দিয়েছিলো বাংলাদেশ। ৬ উইকেটে ৩০৫ রানের বিশাল লক্ষ্য গড়েছিল। যাতে আলো ঝলমলে ছিলেন ওপেনার তামিম। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিও কাজে দিলো না এদিন! কারণ প্রতিপক্ষটা যে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচেই দাপট দেখিয়ে ৮ উইকেটে জিতেছে মরগানের দল। যদিও কিনিংটন ওভালে ইংলিশদের শুরুতেই কাঁপিয়ে দিয়েছিলো বাংলাদেশ। মাশরাফির তৃতীয় ওভারেই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন জেসন রয়। ব্যক্তিগত ১ রানে ক্রিজে থাকা রয়ের দর্শনীয় এক ক্যাচ ধরেন মোস্তাফিজুর। তবে এরপরেই ব্যাট হাতে জবাব দিতে থাকেন অ্যালেক্স হ্যালস ও জো রুট। এই জুটিতেই এসেছে ১৫৯ রান। একটা সময় ব্যাট হাতে আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠেত উঠতে সেঞ্চুরির কাছেই ছিলেন হ্যালস। ২৮তম ওভারে ৯৫ রানে ব্যাট করতে থাকা হ্যালসকে সানজামুলের হাতে তালুবন্দী করান সাব্বির। ৮৬ বলে ১১ চার ও ২টি ছয়ে এই রান করেন হ্যালস। এরপরেও দমে যায়নি ইংল্যান্ড। এরপর জো রুটের ব্যাটেই এগিয়ে যেতে থাকে স্বাগতিকরা। সঙ্গে সমান তালে সঙ্গ দেন এয়োইন মরগান। এই জুটিতেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে ইংল্যান্ড। এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা আলোঝলমলে করেছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে মাশরাফি বাহিনী। আর এই রান পেতে ব্যাট হাতে ভিতটা গড়ে দেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ১২৮ রানে থামলেও ইংলিশদের ওপর এক চেটিয়া দাপট দেখিয়ে পূরণ করেন নমব সেঞ্চুরি। তবে প্লাঙ্কেটের বলে উঠিয়ে মারতে গিয়ে বাটলারের হাতে তালুবন্দি হন বাঁহাতি ওপেনার।এর আগে ১২৪ বলে সিঙ্গেল নিয়ে হাঁকান তার নবম সেঞ্চুরি। আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয়। তার ১৪২ বলের ইংনিংসে ছিল ১২টি চার ও ৩টি ছয়। ওভালে এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শুরুতে দেখে শুনে খেলছিলেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। প্রথম ৭ ওভারে ২০ রান তোলার পর খানিকটা মেরে খেলেন দুজন। তবে বেন স্টোকসের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় সৌম্যকে। ৪টি চার ও ১টি ছয়ে ২৮ রানে বদলি জনি বেয়ারস্টোকে ক্যাচ দেন তিনি। ১১ রানে মঈন আলীর হাতে জীবন পেয়েছিলেন এ ওপেনার। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংস বেশি লম্বা করতে পারেননি ইমরুল কায়েস। ৩৯ রানের জুটি গড়ে তিনি লিয়াম প্লাঙ্কেটের বলে সাজঘরে ফেরেন। অসাধারণ এক ক্যাচ ধরে ১৯ রানে ইমরুলকে থামান উড। ইমরুল আউট হলেও তামিম ৭১ বলে ৩৭তম হাফসেঞ্চুরি করেন। তার সঙ্গে অপর প্রান্তে আছেন মুশফিকুর রহিম। আর তৃতীয় উইকেটে এই জুটিতেই বড় সংগ্রহের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ৪৮ বলে করেছেন ২৫তম হাফসেঞ্চুরি। এই জুটিতেই আসে সর্বোচ্চ ১৬৬ রান। তামিম ১২৮ রানে বিদায় নেওয়ার পর থিতু হতে পারেননি মুশফিকও। পরের বলেই প্লাঙ্কেটের বলে লং অফে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ৭৯ রানে ব্যাট করতে থাকা মুশিফক। ৭২ বলের ইংনিংসে ছিলো ৮টি চার। এরপরে শেষ দিকে আর সেভাবে আলো ছড়াতে পারেনি ব্যাটসম্যানরা। পরের ওভারে সাকিব ১০ রানে বলের ডেলিভারিতে ও সাব্বির রহমান ২৪ রানে প্লাঙ্কেটের বলে বিদায় নেন। এদের পর শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহর ৬ ও মোসাদ্দেকের ২ রানে ৩০৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।  ইংলিশদের পক্ষে ১০ ওভারে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন লিয়াম প্লাঙ্কেট। একটি করে নেন জেক বল ও বেন স্টোকস।