আলফাজ উদ্দিন স্মৃতি ফটুবল টুর্নামেন্টের নিয়ে কানাডা প্রবাসী মামুন জোয়ার্দ্দারের যতো ভাবনা

স্টাফ রিপোর্টার: বাবা ‘আলফাজ উদ্দিন’ স্মৃতি ফটুবল টুর্নামেন্টকে ঘিরে কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক তারকা খেলোয়াড় মামুন জোয়ার্দ্দার চুয়াডাঙ্গার ফুটবল অঙ্গণ নিয়ে যে পরিকল্পনা করেছেন তা যদি সফল হয় তাহলে চুয়াডাঙ্গার ফুটবল চর্চায় বাড়বে গতি, আর ফুটবলারদের বাড়বে কদর। এমনটিই এ প্রতিবদককে জানিয়েছেন কানাডার ফোবানা সম্মেলনের স্পোর্টস সেক্রেটারি চুয়াডাঙ্গার কৃতিসন্তান মামুন জোয়ার্দ্দার। তিনি বলেন, টুর্নামেন্টকে ঘিরে আমি স্বপ্ন দেখি প্রতিবছর এ প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দল অংশগ্রহণ করুক। এখান থেকে বাছাইকৃত ফুটবলাররা চুয়াডাঙ্গার হয়ে জেলার বাইরে খেলে চুয়াডাঙ্গার মুখ উজ্জ্বল করুক। এভাবে চুয়াডাঙ্গার যুবসমাজকে যদি ফুটবলের প্রতি আসক্ত করা যায় তাহলে চুয়াডাঙ্গা ফুটবলের সোনালি অতীতের হারানো গৌরব একদিন ফিরে আসবেই। যে পথ ধরে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে ঢোকার একটি সিড়ি তৈরি হতে পারে। এক সময় জাতীয় ফুটবল দলে চুয়াডাঙ্গার খেলোয়াড়দের সুযোগ তৈরি হয়েছিলো, সেটি এখন আর হবে না। এমনটি ভেবে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। বড় কিছু করার মানসে নিয়মিত ফুটবল অনুশীলন করতে হবে। তা হলে একদিন না একদিন সফলতা হাতছানি দেবেই।
আমি অন্যের কথা বলছি না। কে কি করছে সেটাও আমার দেখার বিষয় নয়। আমি শপথ করে আমার কথা বলছি। চুয়াডাঙ্গার ফুটবলাররা তোমরা মাঠে থাকো, খেলতে থাকো, কেউ না থাকলেও আমি তোমাদের পাশে থাকবো। আমি একা নয় তোমাদেরকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য আমার সাথে আরো অনেকে আছে। আলফাজ উদ্দিন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টটি পরীক্ষামূলকভাবে ছোট পরিসরে শুরু করতে যাচ্ছি। পরবর্তী বছর আমি আরো বড় পরিসরে শুরু করবো ইনশাল্লাহ। শুধু দু-এক বছর নয় জেলাবাসীর সাপোর্ট পেলে আমি প্রতি বছর এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করবো। আমি এ বছর না পারলেও আগামীতে এ টুর্নামেন্টে খেলতে আসা খেলোয়াড় ও দলসমূহকে সম্মানজনক সম্মানী দেয়ার চেষ্টা করবো। যাতে এ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ ও খেলার আশায় সারা বছর খেলোয়াড়রা ফুটবল চর্চায় নিয়োজিত থাকে। আমার উদ্দেশ্য এ টুর্নামেন্টে বাইরের কোনো খেলোয়াড় খেলার সুযোগ পাবে না। শুধুমাত্র চুয়াডাঙ্গার ছেলেরাই খেলবে। ফুটবল নিয়ে আমার জেলার নিজস্ব পরিকল্পনা ও ছক থাকবে যা অন্য জেলার থেকে ভিন্ন হবে। আমার এ সকল পরিকল্পনার সাথে যারা আমার পাশে থাকবে তাদের মধ্যে অন্যতম কানাডার টরেন্টোর ডানপোর্ট এভিনিউয়ের মর্টগেজ এজেন্ট ও ম্যানেজিং পার্টনার ফুটবল সংগঠক আসহাবউদ্দিন খান আসাদ, কানাডার টরেন্টোর ইনোভেটিভ রিয়েলিটি ইনক ব্রকারেজের সেল্স রিপ্রেজটেটিভ ফুটবল সংগঠক খন্দকার বিটু হক, কানাডার ওয়েকপার্ক মোর্টগেজ গ্রুপ, বাংলাদেশের লাভ ও প্লে ফুটবলের পৃষ্ঠপোষক মিনিস্টার মাইওয়ান ফ্রিজের স্বত্বাধিকারী আব্দুল লতিফ খান যুবরাজ ও চুয়াডাঙ্গার ফুটবল সংগঠকগণ। আমরা নেপথ্যে থেকে চুয়াডাঙ্গার ফুটবলে গতি সঞ্চার করে আবারো বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবলে চুয়াডাঙ্গার রাজত্ব ফিরিয়ে আনতে চাই।