আম্পায়ারদের পক্ষ নিলো আইসিসি : সভাপতির মন্তব্যের সমালোচনা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বাংলাদেশ-ভারত কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে সর্বত্র। ক্রিকেট বিশ্বে সমালোচনার ঝড় উঠলেও আম্পায়ারদের পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে আইসিসি প্রধান। শুধু তাই নয়, বিবৃতিতে আইসিসির প্রধান সভাপতি আ ন হ মুস্তফা কামালের সমালোচনাও করেছেন। গত বৃহস্পতিবার বাজে আম্পায়ারিঙের কারণে বাংলাদেশ পরাজিত হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আইসিসির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি আইসিসির কাছে এব্যাপারে অভিযোগ করেন দায়িত্বরত আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে। তবে আইসিসি সভাপতির অভিযোগকে দুঃখজনক, ‘ভিত্তিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থার প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন।

গতকাল শুক্রবার আইসিসির এক বিবৃতিতে ভে রিচার্ডসন বলেন, কোন সংস্থার সভাপতির মন্তব্যে যখন সেই সংস্থারই প্রধান নির্বাহী প্রতিক্রিয়া দেখান, তখন গোলমালটা কিন্তু বেশ স্পষ্টই হয়ে ওঠে। একজন আম্পায়ারদের বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রিচার্ডসন বলেন, আইসিসি মুস্তফা কামালের মন্তব্যকে গুরুত্বের সাথে নিচ্ছে। ওনার বক্তব্য খুবই দুঃখজনক। হতে পারে এটি তার ব্যক্তিগত মত, কিন্তু আইসিসির সভাপতি হিসেবে ম্যাচ অফিসিয়ালদের সমালোচনা করার ক্ষেত্রে তার আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিলো। কারণ, তাদের সততা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। রুবেল হোসেনের বলে রোহিত শর্মা আউট হলেও সেই বলটি ‘নো বল’ ডেকে সমালোচনার মুখে পড়েছেন দু আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড ও আলিম দার। বলটির উচ্চতা কোমরের বেশি ছিলো কি ছিলো না, এ নিয়ে যখন বিতর্ক, আইসিসির প্রধান নির্বাহী তখন সিদ্ধান্তটিকে ’৫০: ৫০’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘নো বলের সিদ্ধান্ত ছিলো ৫০: ৫০ সম্ভাবনা। খেলাটার চেতনা বলে, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং সেটাকে সম্মান করা উচিত।

ম্যাচের আম্পায়ারিংকে ‘বাজে আম্পায়ারিং’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছিলেন, ‘অনেক সিদ্ধান্তই ভুলভাবে বাংলাদেশের বিপক্ষে গেছে। তবে সেটা ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত, তা আমি জানি না। আইসিসিতে ভারতের প্রভাব ক্রমশই স্পষ্ট হয়ে উঠছে-এমন অভিযোগে বিসিবির সাবেক সভাপতি মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আমি “ইন্ডিয়ান” ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারি না। কেউ যদি এমন ফল আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়, কেউ তা মেনে নিতে পারে না। আইসিসি সভাপতির মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রিচার্ডসন বললেন, ম্যাচ অফিসিয়ালদের ‘অ্যাজেন্ডা’ ছিলো কিংবা তাদের সামর্থ্যের বাইরে অন্য কিছু করেছে, এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে।