আমলার শতকে দিনশেষ প্রোটিয়াদের

মাথাভাঙ্গা মনিটর: নিরপেক্ষ ভেন্যু হলেও পাকিস্তানের জন্য ঘরের মাঠ হিসেবেই ধরা যায় আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামকে। গতকাল সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে উদ্বোধনী টেস্টে হোম ম্যাচের সুবিধা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ ভালোভাবে তুলে নিয়েছে তারা। কিন্তু প্রোটিয়াদের জন্য ত্রাতা হয়ে আসেন হাশিম আমলা। তার হার না মানা শতকে সন্তোষজনক অবস্থানে থেকে প্রথম দিন শেষ করেছে গ্রায়েম স্মিথের দল। প্রথম দিন শেষে, দক্ষিণ আফ্রিকা: প্রথম ইনিংস- ২৪৫/৮ (৯০ ওভার) টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরুতেই হোঁচট খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফানের হাতে উইকেট বিলিয়ে দেন দু ওপেনার আলভিরো পিটারসেন (৩) ও গ্রায়েম স্মিথ (১৫)। দলীয় ৪৩ রানের মধ্যে তৃতীয় উইকেটের পতন হয় জুনাইদ খানের হাতে। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস ব্যাট হাতে ৫ রানে সাজঘরে ফেরেন।
তখন ব্যাটিং প্রান্তে ভরসা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন আমলা। তাকে সঙ্গ দিয়ে দলীয় স্কোরবোর্ডে আরও ৬১ রান তুলতে সমর্থ হন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ৭৬ বলে ১৯ রানে আউট হন তিনি। তবে আমলার সাথে সেরা জুটি গড়েন জেপি ডুমিনি। পঞ্চম উইকেটে ৯৫ রান যোগ করার পাশাপাশি পাঁচ নম্বর টেস্ট ফিফটি পান তিনি। প্রোটিয়াদের মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরান পাকিস্তানি স্পিনার জুলফিকার বাবর। অভিষেক টেস্টেই ডুমিনির (৫৭) পর ফাফ ডু প্লেসিস (১), রবিন পিটারসনকে (৫) শিকার করেন ৩৪ বছর বয়সী এই বাঁহাতি বোলার। এরপর দলের বিপদে আমলার পাশে দাঁড়ান ডেল স্টেইন। অবিচ্ছিন্ন ২৩ রানের এ জুটিতে দিন পার করেছে প্রোটিয়ারা। ২০১ বলে ২০তম টেস্ট শতক হাঁকানো আমলা দ্বিতীয় দিন মাঠে নামবেন ব্যক্তিগত ১১৮ রানে। স্টেইন টিকে ছিলেন ১৩ রানে। বাবর নিয়েছেন তিনটি উইকেট। দুটি ইরফান এবং একটি করে দখল করেন জুনাইদ ও আজমল।