আফ্রিদির অবসরের ঘোষণা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: অবসর শব্দটির সাথে আবেগের ঘনিষ্ঠ যোগ। দীর্ঘদিনের ভালোবাসার কাজটি বিদায় জানাতে কার খারাপ লাগে না? শহীদ আফ্রিদিরও নিশ্চয় খারাপ লাগছে। তবে শব্দটি তার কাছে অপরিচিত নয়। ২০১০ সালে টেস্ট ছাড়া নিয়ে কম নাটক হয়নি। নাটক হয়েছে ওয়ানডে ছাড়া নিয়েও। তবে এবার আর কোনো নতুন নাটক নয়। আফ্রিদি জানালেন, বিশ্বকাপের পর আর খেলবেন না ওয়ানডে। ওয়ানডে অবসর নিয়ে ৩৪ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার টুইট করেছেন, আপনাদের সবার সমর্থনের জন্য ও পুরো ওডিআই ক্যারিয়ারে সব সতীর্থকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এটা আমার জন্য অনেক পাওয়া। সবাইকে বড্ড ভালোবাসি…। নানা ঘটনার ঘনঘটায় ভরপুর পাকিস্তান ক্রিকেট টালমাটাল থাকে প্রায়ই। রাজনৈতিক মারপ্যাঁচে বাধ্য হয়ে খেলোয়াড়দের অবসর নেয়ার ঘটনাও তাই নিয়মিত। নিজের মতো করে অবসর নেয়ার সুযোগ একটু কমই মেলে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের। সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আফ্রিদি। টুইটারে লিখেছেন, অনেক উত্থান-পতন ছিল আমার যাত্রায়। তবে আমি সন্তুষ্ট। কারণ নিজের মতো করে বিদায় নিতে পারছি। ওয়ানডে ছাড়লেও টি-টোয়েন্টি চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে ডানহাতি অলরাউন্ডারের। টি-টোয়েন্টিতে বর্তমানে পাকিস্তানের অধিনায়কত্বও করছেন তিনি।

১৯৯৬ সালের অক্টোবরে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে অভিষেক হলেও ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পাননি। পেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ম্যাচে। অভিষেক ইনিংসেই দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড, তার পর থেকেই আফ্রিদি মানে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং। আফ্রিদি মানেই বুম-বুম! তার ৩৭ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ডটি ১৭ বছর অক্ষত থাকার পর এ বছরের শুরুতে ভেঙে দিলেন নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসন। ৩৮৯টি ম্যাচের দীর্ঘ ওয়ানডে যাত্রায় ছয় সেঞ্চুরি ও ৩৮ ফিফটিতে রান করেছেন ৭ হাজার ৮৭০। উইকেট নিয়েছেন ৩৯১টি। ২০১১ বিশ্বকাপে ছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। ওই বছরই কোচ ওয়াকার ইউনুস ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন আফ্রিদি। সে দফা ওয়াকার কোচ থেকে সরে দাঁড়ালে আবারও ফেরেন দলে। এবার নিশ্চিত করেই বলেছেন আর ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ছক্কার (৩৪২) মালিকের।