অ্যাবট ফিরবেন তো

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সেই দুঃসহ স্মৃতিটা ভোলার নয়, ভোলা যায় না! হয়তো সারা জীবনই ফিলিপ হিউজের মৃত্যু তাড়িয়ে বেড়াবে শন অ্যাবটকে। অবশ্য এ ঘটনায় নিউ সাউথ ওয়েলসের ফাস্ট বোলার অ্যাবটকে দায়ী করছে না কেউ। বরং তার পাশে দাঁড়িয়েছেন সতীর্থরা, প্রয়াত হিউজের পরিবার, গোটা ক্রিকেট দুনিয়া। কথা হলো, মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ২২ বছর বয়সী এ বোলার কি পারবেন আগের মতো স্বাভাবিকভাবে ক্রিকেটে খেলতে? শেফিল্ড শিল্ডে নিউ সাউথ ওয়েলসের পরবর্তী ম্যাচ কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে। আগামী মঙ্গলবার। ম্যাচটি আবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে, যেখানে ঘটেছিল সেই দুর্ঘটনা। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত অ্যাবট এ ম্যাচে খেলবেন কি না, এ নিয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। তার খেলা প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাহী অ্যান্ড্রু জোনস জানালেন, পুরো সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে অ্যাবটের ওপরই। জোনস বললেন, সে যে পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে যাচ্ছে, সবাই তা-ই। সে কি চাচ্ছে, বিষয়টি তার ওপরই নির্ভর করছে। ফলে সিদ্ধান্তটা তাকেই নিতে দিন। এ ম্যাচে অ্যাবটের ফেরার সম্ভাবনা নেই। তবে শুধু অ্যাবটের শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রত্যাশা, তার না-থাকাটা যেন শুধু এই ম্যাচের জন্যই হয়। যেন তিনি এর পরের ম্যাচটাতেই আবার মাঠে ফেরেন। যদিও অনেকেই সন্দিহান, আদৌ তিনি আগের মতো মাঠে ফিরতে পারবেন কি-না। মানসিক চিকিৎসকদের অভিমত, আসলে এতো দ্রুত সবকিছু ভোলা সম্ভব নয়। অনুশীলন, প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ফিরতে সতীর্থদের সহায়তা এখানে ভীষণ প্রয়োজন। দুঃসহ স্মৃতি ভোলার সবচেয়ে ভালো উপায়, খেলা থেকে দূরে না থাকা। খেলার ব্যস্ততাই পারে শোকের সবচেয়ে ভালো দাওয়াই হতে।
অস্ট্রেলিয়ান কলেজ অব ট্রমা ট্রিটমেন্টের পরিচালক মাইকেল বার্জ বললেন, আসলে আমি বলবো না খেলা থেকে খেলোয়াড়েরা দূরে থাক। এটি কিছুটা ধাক্কা দিয়েছে, তাদের উচিত বিষয়টি এভাবে নেয়া। খেলা থেকে দূরে থাকা যাবে না, যেটা তারা কয়েক সপ্তাহ ধরে আছে।