অস্ট্রেলিয়াকে চাপে রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: এবি ডি ভিলিয়ার্সের চমৎকার সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ৩৮২ রান। ২৪৩ রানের প্রথম ইনিংস খেলা অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ১৩৯ রানে এগিয়ে ছিলো স্বাগতিকরা। এরপর দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে অসিদের চাপে রেখেছে ফাফ দু প্লেসিসরা। পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে রবিবারের খেলা শেষে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে লিড নিয়েছে ৪১ রানের, হাতে আছে কেবল ৫ উইকেট। তাদের স্কোরবোর্ডে জমা ৫ উইকেটে ১৮০ রান। ৭৪ রানে অপরাজিত ডি ভিলিয়ার্স এদিন ক্রিজে নেমেছিলেন ১৪ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করা ভারনন ফিল্যান্ডারকে নিয়ে। তারা দুজনে মিলে আরও ৪৮ রান যোগ করতে পেরেছেন। ফিল্যান্ডার ৩৬ রান প্যাট কামিন্সের তৃতীয় শিকার হন। ১১৭ বলে ২২তম সেঞ্চুরি মারার পথে ডি ভিলিয়ার্স আরও একটি মানসম্পন্ন জুটি গড়েন কেশব মহারাজকে (৩০) নিয়ে। তারা দুজন একসঙ্গে করেন ৫৮ রান। লাঞ্চের কিছুক্ষণ আগে লুঙ্গি এনগিদি রান আউট হলে শেষ হয় প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংস। ১৪৬ বলে ২০ চার ও এক ছয়ে ১২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। কামিন্স সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। দুটি করে পান জশ হ্যাজেলউড ও মিচেল মার্শ।

প্রায় দেড়শ রানে পিছিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার নড়বড়ে হয়ে পড়ে স্বাগতিক বোলারদের সামনে। চা বিরতির আগে ৮৬ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। ডেভিড ওয়ার্নারকে (১৩) কাগিসো রাবাদা বোল্ড করলে প্রোটিয়াদের এই উদযাপনের শুরু। অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে (১১) পেছনে কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে বন্দি করেন মহারাজ। ক্যামেরন ব্যানক্রফট (২৪) ও শন মার্শ (১) ব্যর্থ হন লম্বা ইনিংস খেলতে। শেষ সেশনে অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং ধাক্কা সামাল দেয় উসমান খাজা ও মিচেল মার্শের ৮৭ রানের জুটিতে। তবে দিন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে খাজাকে ৭৫ রানে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে উল্লাস করেন রাবাদা। ৩৯ রানে অপরাজিত মার্শের সঙ্গে খেলতে নেমে ৫ রানে দিন শেষ করেছেন টিম পেইন। রাবাদা ১৬ ওভারে ৭ মেডেনসহ ৩৮ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।