অব্যবস্থাপনার অভিযোগে উপজেলার পুরস্কার উপজেলাকেই ফেরত দিলো কৃতিসাঁতারুরা -মিরপুরে জাতীয় স্কুল-মাদরাসা গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে ৪৬তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। তবে পুরস্কার বিতরণে অব্যবস্থাপনার অভিযোগে সাঁতারুরা তাদের পুরস্কার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিয়ে যান। প্রতিবছরই এই সাঁতারুদের নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিস প্রহসন করে। অথচ এই সাঁতারুরা প্রতিবছরই জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে থাকে। গতকাল রোববার বিকেলে মিরপুর ফুটবল মাঠের প্যারী সুন্দরী মুক্ত মঞ্চে এ পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণের পূর্বে প্রতিযোগিতার বালক ও বালিকা ফুটবলের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বালিকাদের ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে খেলা অমীমাংসিত হওয়ায় বলিদাপাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় টাইব্রেকারে ৩-০ গোলের ব্যবধানে কুরিপোল আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। পরে বালকদের খেলায় আমলা-সদরপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলের ব্যবধানে কুরিপোল আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। খেলার প্রথমার্ধে আমলা-সদরপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষে পারভেজ গোল করে দলকে এগিয়ে নেয়। খেলার অতিরিক্ত সময়ে কুরিপোল আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হাকিম গোল করে সমতা ফিরিয়ে আনলে খেলা টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হয়। খেলা শেষে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান পুরস্কার বিতরণ করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার হায়দারের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আমলা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মহাব্বত হোসেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার নাসরিন, মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। পুরস্কার বিতরণকালে সাঁতারুদের পুরস্কার আমলা-সদরপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়াশিক্ষক জালাল উদ্দিন ও সদরপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসার ক্রীড়া শিক্ষক হাবিবুর রহমানের নিকট প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ওই দুই শিক্ষক বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করতে গিয়ে চাহিদার তুলনায় অনেক কম পুরস্কার পান। পরে বিজয়ী সাঁতারুরাসহ ওই শিক্ষকদ্বয় পুরস্কারগুলো উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিয়ে আসেন। তবে পুরস্কার না পেয়ে বিজয়ী সাঁতারুরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।