অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতায় ‘ট্রফি দর্শন’ শেষ

স্টাফ রিপোর্টার: দর্শনার্থীদের ভিড়ে সৃষ্ট নানা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ট্রফি দর্শন পর্ব। জাতীয় দলের ফুটবলার তকলিসই কেবল লাঞ্ছিত হননি। নিরাপত্তাকর্মীরা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকেও ঢুকতে বাধা দেয়। এছাড়া, হাতে টিকেট থাকার পরও কয়েকশ দর্শকের ট্রফি দেখার সুযোগ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ আর পুলিশ, হোটেল রেডিসন ও কোকাকোলার নিযুক্ত সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান ‘জি ফোর’র মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি ম্লান করে দেয় শেষ দিনের উৎসব আমেজ। গত বুধবার প্রথমদিন দর্শকরা সুশৃঙ্খলভাবে ট্রফি দেখেছেন। নির্ধারিত ১৫ হাজার দর্শকের মাঝে ট্রফি দেখতে পেরেছিলেন সাড়ে নয় হাজার। সংবাদ মাধ্যমে এ খবর প্রচারিত হলে দ্বিতীয় দিন ছিলো দর্শকদের উপচে পড়া ভীড়। শেষ দিন প্রদর্শনের সময় ছিলো বেলা তিনটা পর্যন্ত। কিন্তু সেখানে তার চেয়েও অনেক বেশি দর্শক এসে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ অছে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বিনা টিকেটে সপরিবারে ট্রফি দেখতে আসেন। অনেকে আবার একটি টিকেটের সাথে বাড়তি লোক নিয়ে আসেন। এভাবে পরিস্থিতি ক্রমেই বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে। অবস্থার অবনতি ঘটলে আধ ঘণ্টা আগেই ট্রফি প্রদর্শন বন্ধ করে দেয়া হয়। যার ফলে অনেক দর্শক হাতে টিকিট থাকার পরও তারা ট্রফি দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। টিকেট ছাড়া কেউ বিশ্বকাপ ট্রফি দেখার সুযোগ পাবেন না। বলা থাকলেও কিন্তু কোনো কোনো টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার করা হয় ট্রফি প্রদর্শন সবার জন্য উন্মুক্ত। এতে বিনা টিকেটের লোকজন এসে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন বলে জানান বাফুফে’র সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।