আলমডাঙ্গা ব্যুরো: শেষ পর্যন্ত পুলিশ আটক করেছে বহু অপকর্মের হোতা আলমডাঙ্গার লক্ষ্মীপুরের যুবলীগ নেতা আশরাফুল। গতকাল সোমবার ওসমানপুর-প্রাগপুর মাদরাসার অনুষ্ঠান থেকে পুলিশ তাকে আটক করেছে। স্ত্রী ও একাধিক সন্তান থাকা সত্বেও ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। এ ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে অপহৃত ছাত্রীর বাড়িতে বোমা হামলাও চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে ২ সন্তানের জনক আশরাফুল ইসলামকে গতকাল সোমবার পুলিশ আটক করেছে। ওসমানপুর-প্রাগপুর ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান থেকে ওসমানপুর ফাঁড়ি পুলিশ তাকে আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে অপহরণ ও বোমা হামলা মামলায় গতকালই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর গভীর রাতে আশরাফুল ইসলাম তার দলবলে পার্শ্ববর্তী ওসমানপুর গ্রামের এক বাড়িতে গিয়ে চড়াও হয়ে অস্ত্রের মুখে গৃহকর্তার স্ত্রী ও বড় ছেলেকে জিম্মি করে তার ১৩ বয়সী মেয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। আশরাফুল বেশ কিছু দিন ধরে ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। এরই এক পর্যায়ে সে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় অপহৃতার বড় ভাই আলমডাঙ্গা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েই শুধু আশরাফুল থামিয়ে রাখেনি অপকর্ম। মামলা তুলে নিতে নির্যাতিতের পরিবারকে দিয়ে আসছিলো নানা হুমকি-ধামকি। মামলা তুলে না নেয়ায় গত ১৬ অক্টোবর শুক্রবার রাত ৯টার দিকে নির্যাতিতার বাড়ির বাইরের দেয়ালে বোমা হামলা চালায়। এছাড়া এলাকায় বহু অঘটনের হোতা আশরাফুল। ঘরে বর্তমানে স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে। ইতোপূর্বেও সে একাধিক বিয়ে করে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় গ্যাংগ্রুপ সৃষ্টি ও নেতৃত্ব দিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও ধর্ষণসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। আলমডাঙ্গা থানায় তার বিরুদ্ধে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণ ও বোমা হামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।