৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য ফ্রন্টের মানববন্ধন

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, পূর্ণাঙ্গ পেনসন, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ভাতা, ৪৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, বোশেখি ভাতা, টাইম স্কেল, পদোন্নতি, শর্ত পূরণকারী নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিও প্রদান, কর্মচারীদের চাকরি বিধি বাস্তবায়ন, কারিগরি ও সাধারণ শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণ, শিক্ষা উপকরণের মূল্য হ্রাস, শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি প্রভৃতি দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষকরা।
আন্দলনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল বেলা ১১টায় জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্ট চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শাখা’র উদ্যোগে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। একই দাবিতে সংগঠনের দামুড়হুদা উপজেলা শাখা গতকাল একই সময়ে দামুড়হুদায় মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মীজানুর রহমান, বশির আহমেদ, আব্দুল লতিফ, জিয়াউর রহমান, সহিদুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ শিক্ষক নেতৃবন্দ। দাবির সপক্ষে আগামী ৩০ জুলাই রোববার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর দাবির সপক্ষে স্মারকলিপি প্রদান করার ঘোষণা দেয়া হয়।
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণসহ ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য ফ্রন্টের উদ্যোগে মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে ওই মানববন্ধন রচিত হয়। মাসিক বেতনের ১০ ভাগ কর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, ৫ ভাগ বার্ষিক বেতন প্রবৃদ্ধির বাস্তবায়ন, পূর্ণাঙ্গভাবে সকল উৎসবভাতা প্রদান, ৪৫ ভাগ বাড়ি ভাড়া প্রদান এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ এই ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে মানববন্ধন পালিত হয়। উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, নাসির উদ্দীন, ইব্রাহিম হোসেন, প্রভাষক মিজানুর রহমান, শরীফুল আলম মিল্টন, মরিয়ম মারু, বশীর আহমেদ, নজরুল ইসলাম, জাকির হোসেন, দামুড়হুদা পাইলট গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারি প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীন, সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, অফিস সহায়ক সেলিম হোসেনসহ বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল করেজের শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ।