২৫ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে বাধা দিলেই ৭ দিনের হরতাল

মাথাভাঙ্গা অনলাইন : ২৫ অক্টোবর তারিখটি নিয়ে উত্তেজনা-উৎকণ্ঠা এখন চরমে। দেশের সাধারণ মানুষ এই নিয়ে আছেন শঙ্কায়। কী হবে সেদিন-এটা এখন রাজনীতির প্রধান বিষয় হিসেবে আলোচিত হচ্ছে। এদিকে, বিএনপিকে ২৫ অক্টোবর সমাবেশ করতে না দিলে টানা হরতালের ঘোষণা দিতে পারেন খালেদা জিয়া।
২৫ অক্টোবরকে সামনে রেখে যুদ্ধাংদেহী মনোভাব সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপিতে। বিএনপির সহযোগী জামায়াতে ইসলামীও প্রস্তুত। বিশেষ করে দেশের যেসব এলাকার জামায়াত শক্তিশালী সেখানে চলছে দলটির শক্তি দেখানোর প্রস্তুতি। এর মধ্যে রাজশাহী, সাতক্ষীরা, বগুড়া, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জামায়াতের শক্ত ঘাঁটি। এসব এলাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর হামলা হতে পারে বলে গোয়েন্দা সংস্থা মনে করছে।
২৪ অক্টোবরের পর সংসদ চালিয়ে নেয়ার যে সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ নিয়েছে তাতে উত্তেজনার পারদ তরতর করে বাড়ছে। ২৫ অক্টোবর থেকে মহাজোট সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেবে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে। সংবিধান সংশোধন করে এটি করা হয়েছে।
২৫ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করবে। সমাবেশ থেকে মহাজোটের পক্ষে ভোট চাওয়া হবে। একই দিন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলও সমাবেশ করবে। সমাবেশের জন্য পল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এখনো সরকার অনুমতি দেয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার একটি ইংরেজি দৈনিককে বলেছেন, সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে। আমাদের সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতেই সরকার এটি করেছে। আর বিএনপি এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে অনেক আগেই।তিনি আরো বলেন, করুণ পরিণতির মধ্য দিয়েই এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।

বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, ২৫ অক্টোবর যদি সরকার সমাবেশের অনুমতি না দেয় বা সমাবেশে বাধার সৃষ্টি করে তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। খালেদা জিয়া তখন সাত দিনের টানা হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাইলে সরকার অনুমতি দেবে। কিন্তু বিএনপি যদি সংঘাতের দিকে যেতে চায় তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অ্যাকশনে যাবে।

একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, জামায়াত যদি তাদের লোকদের ওপর হামলা চালাতে চায় তাহলে আওয়ামী লীগ প্রতিহত করতে যা করার প্রয়োজন সবই করবে।