২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিটিসেলের তরঙ্গ খুলে দেয়ার নির্দেশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোবাইলফোন অপারেটর সিটিসেলের বন্ধ তরঙ্গ খুলে দেয়া এবং তরঙ্গ লাইসেন্স পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। আপিল বিভাগ বলেছেন, বিশ্বব্যাপী এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আপনারা (বিটিআরসি) প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিচ্ছেন, এটা ঠিক নয়। আপনাদের উচিত এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখার জন্য সাহায্য করা। আদালতে সিটিসেলের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, বিটিআরসির পক্ষে অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

সিটিসেলের কাছে বকেয়া হিসাবে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা দাবি করেছিলো বিটিআরসি। যদিও এই পাওনা নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য রয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে বিটিআরসি বকেয়া অর্থের সংশোধিত অঙ্ক ৩৯৭ কোটি টাকার একটি হিসাব আপিল বিভাগে দাখিল করে। বকেয়া টাকার পরিমাণ নির্ধারণ নিয়ে বিটিআরসি ও সিটিসেলের মধ্যে যে বিরোধ দেখা দিয়েছে তা নিষ্পত্তি করতে প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি গত তিন নভেম্বর গঠন করে দেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি পাওনা অর্থের আরো ১০০ কোটি টাকা গত ১৯ নভেম্বরের মধ্যে বিটিআরসিকে প্রদান করতেও সিটিসেলকে বলা হয়। নির্দেশ দেয়া হয় সিটিসেলের তরঙ্গ পুনর্বহাল এবং নেটওয়ার্কিং কার্যক্রম অবিলম্বে খুলে দিতে। এরপরই সিটিসেলের তরঙ্গ পুনর্বহাল করে নেটওয়ার্কিং কার্যক্রম সচল করে দেয় বিটিআরসি। এছাড়া আপিল বিভাগের ওই আদেশ অনুযায়ী বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ১০০ কোটি টাকা পরিশোধ করে সিটিসেল। কিন্তু গত ২৬ এপ্রিল সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ ও তরঙ্গ লাইসেন্স বাতিলের জন্য নোটিস দেয় বিটিআরসি। ওই নোটিসের জবাব দেয়ার পরেও গত ১১ জুন তরঙ্গ বরাদ্দ বন্ধ ও লাইসেন্স বাতিল করে দেয়া হয়। সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের পরেও এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ আদালত অবমাননাকর এই অভিযোগে বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে বিবাদী করে আবেদন দেয়া হয় বলে জানান সিটিসেলের আইনজীবী ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী।