২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে রিজার্ভ

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রথমবারেরমতো গতকাল বৃহস্পতিবার ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকা। রিজার্ভে সার্কভুক্তদেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। অর্থনীতিবিদ এবং কেন্দ্রীয়ব্যাংক সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে,বিনিয়োগ আসাই রিজার্ভ বৃদ্ধিরবড় কারণ। আর শিল্পখাতে বিনিয়োগ স্বাভাবিক হলে তা কমে যাবে। এদিকে বর্তমানেবিশ্বের সবচেয়ে বেশি রিজার্ভ চীনের। দেশটির রিজার্ভ৩ হাজার ৮২১ বিলিয়নডলার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১৫তম।
গতকাল বৃহস্পতিবারের তথ্যঅনুসারে বাংলাদেশের গ্রোস রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকবাংলাদেশের কাছে জমা রেখেছে ১ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের ঋণ আছে প্রায় ৫০০মিলিয়ন ডলার। এ দুইখাতকে দায় হিসেবে ধরছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ হিসেবে দেড়বিলিয়ন ডলার দায় বাদ দিলে নেট রিজার্ভ সাড়ে ২০ বিলিয়ন ডলার। এগুলো ৬টিমুদ্রায় রাখা আছে। এগুলো হলো-, স্বর্ণ বা হার্ড কারেন্সি এবং ৫টি মুদ্রা বাসফট কারেন্সি। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকেরআলাদা ভল্ট রয়েছে। সেখানে ১৩ টন স্বর্ণ মজুদ রয়েছে। যা মোট রিজার্ভের ৫শতাংশ। এরপর ৫টি মুদ্রার মধ্যে,মার্কিন ডলার,অস্ট্রেলিয়ান ডলার,সিঙ্গাপুরের ডলার,ইউরো এবং পাউন্ড স্ট্যালিং। এ ৫ মুদ্রায় বাকি রিজার্ভমজুদ রয়েছে। তবে মার্কিন ডলারেই রির্জাভের পরিমাণ বেশি। রিজার্ভ হিসাব করাহয় মার্কিন ডলারে। বর্তমানে রিজার্ভে সার্কভুক্ত প্রথম অবস্থানে রয়েছেভারত। এছাড়া পাকিস্তানের রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বরেবাংলাদেশের রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। এরপর গত বছরের ৭ মে তা ১৫বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। একই বছরে ১৯ ডিসেম্বর তা ১৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীতহয়।