২শামসুজ্জোহার মৃত্যুবার্ষিকীর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার কৃতিসন্তান মীর শামসুজ্জোহার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এমএস জোহা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ অডিটোরিয়ামে স্মরণসভায় অধ্যক্ষ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হারদী ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন এমএস জোহা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ নিয়ামত আলী, মীর শামসুল ইসলাম পলিটেকনিক কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান, এমএস জোহা কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ কৃষিবীদ হামিদুল হক, মীর শামসুদ্দীন আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার খান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফিউজ্জামান খান বাবলু, দাতা সদস্য মহিনুল হক, অভিভাবক সদস্য মজিবর রহমান, মহর আলী, আলহাজ ইফতেখারুজ্জামান খান। সহকারী অধ্যাপক এসএম ফারুকের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন কামাল হোসেন, শামসুল হুদা, আলহাজ আবুল হোসেন, আব্দুস সাত্তার, সহকারী অধ্যাপক রোকনুজ্জামান ডাবলু, আসাদুজ্জামান মিল্টন, ওমর খৈয়াম মাস্টার, কামরুল ইসলাম সদু প্রমুখ।
অপরদিকে মীর শামসুল আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান শিক্ষক আনোয়ার রশিদ সাগর ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ওমর খৈয়াম, রেজাউল হক, আব্দুল ওহাব, আক্তারুজ্জামান, শহিদুল্লাহ খান, নাজনীন বেগম প্রমুখ। এ সময় বক্তাগণ এমএস জোহার স্বপ্নের নিপ্পন জোহা এডুকেশন কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রধান কারিগর নূরুল ইসলামের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা বলেন, নূরুল ইসলাম নিজের জীবন-যৌবন, ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে থেকে নিরলস পরিশ্রম করে এ বিশাল বিশাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে সারাদেশের মধ্যে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। বক্তারা দানবীর জোহা সম্পর্কে বলেন, তিনি ছিলেন প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তার কর্মজীবন ছিলো লন্ডন। তিনি খ্যাতি, অর্থ ও যশ সবই পেয়েছিলেন। কিন্তু জন্মভূমিকে কোনোদিন ভুলতে পারেননি। জন্মভূমি অন্তপ্রাণ জোহা সাহেব এলাকাবাসীর জন্য যা করেছেন, অনেকের টাকা থাকলেও তা করতে পারেননি। তিনি জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০০২ সালের ২২ ডিসেম্বর লন্ডনের নিজ বাসভবনে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।