১ ২ ও ৫ টাকার নোট এবং রেজগি পয়সা নিয়ে চরম সমস্যায় ব্যবসায়ীরা

 

সমস্যা সমাধানে ব্যাংকগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন

হারুন রাজু/হানিফ মণ্ড: টাকায় এক মন চাল এ যেন বর্তমান প্রজন্মের কাছে গল্প। বর্তমান অবস্থার কথা ভাবলে তা গল্পই মনে হয়। সে সময় এক পয়সায় কেনা যেতো নানা রকমের পণ্য। যে কারণে রেজগি পয়সার ছিলো খুব কদর। যুগের সাথে সাথে পাল্টাচ্ছে অনেক কিছু। সময়ের সাথে লড়াই করে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের মানুষ ও প্রযুক্তি। কয়েক বছর আগেও ৫, ১০, ২৫ এবং ৫০ পয়সার কদর থাকলেও আজ তা বিলুপ্ত প্রায়। পরপরই চাহিদা বাড়লো ১, ২ ও ৫ টাকার নোট ও কয়েনের। অল্পদিনের ব্যবধানে তা অচলবস্থায় পরিণত হয়েছে। দর্শনাসহ আশপাশ এলাকার ব্যবসায়ীরা খুচরা টাকা ও রেজগি পয়সা নিয়ে চরম সমস্যার মোকাবেলা করছেন। ছোটোখাটো দোকানগুলোতে বিকিকিনির ক্ষেত্রে খুচরা পয়সা ও টাকার প্রয়োজন থাকলেও মহাজন ও ব্যাংকগুলোতে এ টাকার কোনো প্রয়োজনীয়তা লক্ষ্য করা যায় না। যে কারণে অনেক ছোটোখাটো ব্যবসায়ীর কাছে জমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খুচরা টাকা-পয়সা। সম্প্রতি ছোটোখাটো ব্যবসায়ীদের অনেকেই খুচরা টাকা-পয়সা নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে হতদরিদ্র মানুষগুলোর।

কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ীর সাথে কথা বললে তারা জানান, প্রচুর পরিমাণে খুচরা টাকা-পয়সা জমেছে, কিন্তু মহাজন ও ব্যাংক এ টাকা নিচ্ছে না। দর্শনা সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আবু জাফর সাদেক জানান, আমরা খুচরা টাকা-পয়সা নিচ্ছি, তবে সে টাকা আলাদা আলাদাভাবে গুনে প্যাকেট করে দিতে হবে। জনতা ব্যাংকের দর্শনা শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুস সামাদ পরিষ্কারভাবেই জানিয়ে দিলেন, খুচরা টাকা নেয়া যাবে কিন্তু পয়সা নেয়ার কোনো নির্দেশ সংশ্লিষ্ট কর্তাদের কাছ থেকে আমরা পাইনি। অগ্রণী ব্যাংকের দর্শনা শাখা ব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, আমরা গ্রাহক সেবায় খুচরা টাকা ও পয়সা নিয়ে থাকি। সেক্ষেত্রে গ্রাহকদের সুযোগ-সুবিধা বুঝতে হবে।