হুসাইন বাঁচতে চাই

গাংনী প্রতিনিধি: ৪ বছর বয়সী হুসাইন। সারাক্ষণ খেলাধুলা ও দুষ্টমি করেই সময় কাটায়। দূরন্তপনার মধ্যদিয়েই বেড়ে উঠছে। কিন্তু শিশুটির পিতা-মাতার ঘুম নেই। হুসাইন জানে না মরণব্যাধি ব্লাড ক্যান্সার তার শরীরে বাসা বেঁধেছে। তাকে নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরছেন পরিবার। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হচ্ছে না। ব্লাড ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। হুসাইনের দিনমজুর পিতার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাইতো ফুটফুটে হুসাইনের মরণযাত্রার অপেক্ষার প্রহর গোনা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তবে বিত্তবানদের একটু সহযোগিতায় নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারে হুসেইন ও তার পিতা-মাতা।
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামের দিনমজুর রাশিদুল ইসলামের এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে হুসাইন ছোট। মাস দেড়েক আগে হুসাইনের জ্বর ও চুলকানি দেখা দেয়। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করে ভালো না হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেলে নেয়া হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মনিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে শিশুটির রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়ে ব্লাড ক্যান্সার। হুসাইনের পিতা দিনমজুর রাশিদুল ইসলাম বলেন, ব্লাড ক্যান্সার চিকিৎসা করতে ২২ লাখ টাকা প্রয়োজন। যা আমার ভিটেবাড়ি বিক্রি করেও জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাছাড়া প্রতিদিন যা আয় করি তা দিয়ে সংসার চলে না। এখন আমি কোথায় যাবো। সমাজের সহৃদয়বান-বিত্তবানদের কাছে শিশু সন্তানের বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন তিনি। দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে হুসাইনকে বাঁচানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
হুসাইনকে সহায়তা করতে চাইলে রাশিদুলের ০১৭৭১-২৬৩৭৩০ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। রাশিদুল ইসলাম, সঞ্চয়ী হিসাব নং ৩২০৫২০১০০৯৬৪৬, সোনালী ব্যাংক জোড়পুকুরিয়া শাখা, গাংনী মেহেরপুর।