হারদী এমএস জোহা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অনার্স-মাস্টার্স

আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজে অনার্স কোর্স চালুর মাধ্যমে এলাকায় উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা অঞ্চলে উচ্চশিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছে হারদী এমএস জোহা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ। কলেজ দুটিতে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু হওয়ায় এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা বাড়িতে অবস্থান করেই উচ্চশিক্ষা লাভের সুবর্ণ সুযোগ পাচ্ছেন।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজে এ বছর থেকেই অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজটিই আলমডাঙ্গাসহ আশপাশের উপজেলার সবচে প্রাচীন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান ছিলো। প্রাচীন ও স্বনামধন্য হওয়া সত্ত্বেও এ কলেজটি আজও সরকারিকরণ সম্ভব হয়নি। এ বছরই কলেজটির গৌরবময় সুবর্ণ জয়ন্তী। হুইপের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ বছর থেকেই অনার্স কোর্স চালু করা সম্ভব হয়েছে। ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে রিলিজ স্লিপে দুটি বিষয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনায় ভর্তি চলছে।

অন্যদিকে হারদী এমএস জোহা কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। ১৯৯৩ সালে এলাকার বিশিষ্ট দানবীর মরহুম এমএস জোহার আর্থিক সহযোগিতায় হারদী ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার ৭ বছরের মধ্যে এ কলেজটিতে অনার্স কোর্স চালু করা হয়। মাঝে কিছুকাল বন্ধ থাকার পর ২০১০ সালে অনার্স কোর্সটি পুনরায় চালু হয়েছে। বর্তমানে ৬টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে কলেজটিতে। বাংলা, দর্শন, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা। এছাড়া কলেজটিতে এ বছর থেকে মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি শুরু করা হয়েছে। মোট ৪টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু হয়েছে। বাংলা, দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও হিসাববিজ্ঞান। মাস্টার্স কোর্স চালুর মাধ্যমে বর্তমানে কলেজটি হারদী এমএস জোহা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

এছাড়া এ বিশাল বিদ্যায়তন ঘিরে বৃত্তিমূলক নানামুখি বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে একই ক্যাম্পাসে। এগুলো হলো- এমএস জোহা কৃষি কলেজ, মীর সামসুল ইসলাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, এমএস জোহা ফিসারিজ কলেজ, এমএস জোহা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ, নিপ্পন জোহা টেকনিক্যাল স্কুল, মীর সামসুল ইসলাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নির্মাণাধীন এমএস হুদা ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি ও নার্গিস ইসলাম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

হারদী ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, উচ্চশিক্ষাসহ এ সকল বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এলাকার শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত উপকৃত হচ্ছে। এ সকল প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মমুখি শিক্ষা গ্রহণ করে প্রতি বছর শ শ ছেলে-মেয়ে পেশাগত দক্ষতা অর্জন করে প্রকৃত জনশক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।