হরিণাকুণ্ডুতে উৎসব উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ২৬টি মণ্ডপে শারদীয় পূজার আয়োজন

 

হরিণাকুণ্ডু প্রতিনিধি: দেশের ২য় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ বছর শারদীয় উৎসব পালন করা হচ্ছে। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত পূজার আনুষ্ঠানিকতা চলবে। প্রতি বছরের মতো এবারও ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ২৬টি মণ্ডপে শারদীয় পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। এগুলোর মধ্যে হরিণাকুণ্ডু পৌরসভায় ৫টি এবং অন্যান্য ইউনিয়নের মধ্যে ভায়নাতে ২টি, জোড়াদহে ৩টি, তাহেরহুদায় ৩টি, দৌলতপুরে ৩টি, কাপাসহাটিয়াতে ৪টি, ফলসীতে ২টি, রঘুনাথপুরে ২টি এবং চাঁদপুরে ২টি পূজামণ্ডপ রয়েছে। এ সকল মণ্ডপের মধ্যে শাখারীদহ, ভবানীপুর, কুলবাড়িয়া এবং রিশখালিতে স্থাপিত মণ্ডপগুলো ঝুঁকিপূর্ণ বলে পূজা উদযাপন কমিটির উপজেলা সেক্রেটারি বিশ্বনাথ কুমার সাধু খাঁ জানান। সাধারণভাবে প্রতিটি মণ্ডপে ৬ জন আনসার এবং ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপগুলোতে ৮ জন করে আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি মণ্ডপ কর্তৃপক্ষের ৬ জন করে স্বেচ্ছাসেবক পালাক্রমে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া পুলিশ র‌্যাবসহ প্রশাসনের টিম টহল দেবে। উপজেলার প্রতিটি মণ্ডপের জন্য ৫’শ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকেও কিছু আর্থিক বরাদ্দ দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের আর মাত্র ৯দিন বাকি। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পূজা মণ্ডপে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মণ্ডপে প্রতিমা নির্মাণের কাজও শেষ হয়েছে। বাজারগুলোতে বিশেষ করে শাড়ি কাপড় ও গার্মেন্টসের দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এ বছর কেশবপুরে ৮২টি মণ্ডপে দুর্গা পূজার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানানো হয়েছে।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের চেয়ে এ বছর ৬টি  মণ্ডপে দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গত বছর ৭৬টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। আর এ বছর পৌরসভা এলাকায় ১টিসহ ৯টি ইউনিয়নে ৮২টি মণ্ডপে দুর্গা পূজার প্রস্তুতি চলছে। কেশবপুর পৌরসভা এলাকায় ৫টি, ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে ১২টি, সাগরদাঁড়ি ১২টি, মজিদপুর ইউনিয়নে ৪টি, বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে ১০টি, মঙ্গলকোট ইউনিয়নে ৪টি, কেশবপুর সদর ইউনিয়নে ৫টি, পাঁজিয়া ইউনিয়নে ৯টি, সুফলাকাঠি ইউনিয়নে  ১০টি ও গৌরিঘোনা ইউনিয়নে ১১টি।

কেশবপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক অসিত মোদক জানান, বর্তমান সরকারের আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলার ৮২টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব পালনের জন্য যতো প্রকার প্রস্তুতি নেয়ার দরকার তার সবটুকু নেয়া হবে। ইতোমধ্যে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপকে চিহ্নিত করে অতিরুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।