স্ত্রী যখম হাজাম!

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার আসাননগর গ্রামের মধ্য বয়স্ক কৃষক আনিস আলীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে রাতেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। গত পরশু দিনগত রাত ১টার দিকে এ ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটে। তবে কে এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে আনিস আলী কিংবা তার স্ত্রী কেউই মুখ খোলেনি। গ্রামবাসীর সন্দেহের তীর স্ত্রীর দিকে।

                জানা গেছে, আলমডাঙ্গা শহরের নিকটবর্তী আসাননগর গ্রামের মৃত তাহাজ উদ্দীনের ছেলে ২ সন্তানের জনক আনিস আলী (৪৫)। তিনি প্রতিরাতের মতো স্ত্রী রহিমা খাতুনকে (৪০) নিয়ে ঘরের বারান্দায় ঘুমচ্ছিলেন। রাত ১টার দিকে কে বা কারা ঘুমন্ত আনিস আলীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে। তার আর্ত চিৎকারে স্ত্রী রহিমা খাতুন জেগে যায়। রহিমা খাতুন কী করবে না করবে বুঝতে না পেরে প্রতিবেশী রেজাউলের বাড়ি গিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে আসেন। রেজাউল গিয়ে দেখেন রক্তে বিছানা ভেসে যাচ্ছে। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় আনিস আলীকে প্রথমে আলমডাঙ্গা শহরের একটি ক্লিনিকে নেয়া হয়। ক্লিনিক চিকিৎসা সেবা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে হারদী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফেরত দিলে রাতে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। রাতে এ সংবাদ লেখার সময় আনিস আলীকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। কে বা কারা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে সে সম্পর্কে আনিস কিংবা তার স্ত্রী মুখ খোলেনি।

এ বিষয়ে রহিমা খাতুন বলেন, সে (আনিস) ভাল হয়ে বাড়ি ফিরলে জানবেন। তবে গ্রামবাসীর সন্দেহের তীর স্ত্রী রহিমা খাতুনের প্রতি। রহিমা খাতুনই এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে অনেক গ্রামবাসী মন্তব্য করেছেন।