সেচপাম্পে মন্ত্রীর নির্দেশেও বিদ্যুত পায়নি ৭ কৃষক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ এখন প্রায় দুর্লভ বস্তু। পল্লী বিদুতের অফিসের টেবিল থেকে টেবিলে ঘুরে ঘুরেও সংযোগ মেলে না। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে শ্যালোমেশিন দিয়ে সেচ কাজ চালায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পাহাড়পুর এলাকার মানুষ। একটু আধুনিকভাবে চাষাবাদ ও উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য সাধারণ কৃষকরা সংযোগ নিতে চাই বিদ্যুতের। কিন্তু কৃষকের সেই আশা আশায় থেকে যায়। স্থানীয় পল্লী বিদ্যুত অফিসে বার বার ধর্ণা দিয়েও মাঠে সেচপাম্প চালানোর জন্য সংযোগ পায়নি মিরপুর উপজেলার পাহাড়পুর গোরস্থানপাড়া এলাকার ৭ কৃষক।
তবে সংযোগ পেয়েছেন একই এলাকার একটি পরিবারের ৭ জন। সেচপাম্পে বিদ্যুতের সংযোগর আবেদন করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সুপারিশ করেও ওই ৭ দরিদ্র কৃষক বিদ্যুত সংযোগ পাননি।
তাদের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাহাড়পুর গ্রামের নজরুল মৃধা, বাবুল আলী, সাপ্তার আলী, ইব্রাহীম মণ্ডল, চেনির মণ্ডল, আইয়ুব আলী ও বাবুল মালিথা এই ৭ দরিদ্র কৃষক দীর্ঘ ২০ বছর ধরে শ্যালোমেশিনের মাধ্যমে সেচ কাজ চালিয়ে জমিতে ফসল চাষ করে আসছেন। এতে তাদের ফসলের উৎপাদন খরচ বেশি হচ্ছে। বিদ্যুতের সাহায্যে সেচপাম্প চালানো গেলে খরচ অনেকাংশেই কমে আসতো। কিন্তু স্থানীয় পল্লী বিদ্যুত অফিসের অসহযোগিতার ফলে তারা বিদ্যুত সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অভিযোগে প্রকাশ, পাহাড়পুর গোরস্থান পাড়ার যে মাঠে এই ৭ কৃষকের জমি রয়েছে সেই মাঠে ৭টি সেচ পাম্পে বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার জন্য কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুত সমিতি ইতোমধ্যে ডিজাইন প্রস্তুত করেছে।
তবে সেই ডিজাইনে এই ৭ প্রান্তিক কৃষকের পরিবর্তে নাম রয়েছে একই পরিবারের ৭ সদস্যের। তবে প্রভাবশালী এই পরিবারের সদস্যরা এর আগে কখনই ওই মাঠে সেচপাম্প ব্যবহার করেনি।
গত ১০ সেপ্টেম্বর তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু প্রকৃত কৃষকদের সেচ লাইন দেয়ার জন্য কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজারকে নির্দেশ দিলেও তা উপেক্ষিত হয়েছে। ভুক্তভোগি ৭ কৃষক বিষয়টি তদন্ত করে তাদের নামে সেচলাইন বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হারুন অর রশীদ দাবি করেন পাহাড়পুর মাঠের জন্য সেচলাইনের যে ডিজাইন করা হয়েছে তা অনেক দিনের পুরোনো। এখনও ওই ডিজাইন অনুযায়ী কোনো বিদ্যুত লাইন বসানো বা সংযোগ দেয়া হয়নি। বিদ্যুত লাইন বসানোর পর সব কৃষককেই সংযোগ দেয়া হবে বলে তিনি জানান।