সার্টিফিকেট নিয়ে জীবননগর থেকে বিষমুক্ত আমের প্রথম চালান গেলো রাজধানী ঢাকায়

জীবননগর ব্যুরো: প্রশাসনের সার্টিফিকেট নিয়ে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা থেকে ফরমালিন ও বিষমুক্ত আমের প্রথম চালান গেলো রাজধানী ঢাকায়। গতকাল বৃহস্পতিবার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর হতে রাসায়নিক পদার্থ মুক্ত আমের সার্টিফিকেট নিয়ে হিমসাগর আমের প্রধম চালান নিয়ে যান আমব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফাইভ স্টার ফল ভাণ্ডার।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও সাতক্ষীরার পর দেশের বাজারের সুমিষ্ট আম হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলার আমের খ্যাতি ও চাহিদা রয়েছে। জীবননগর উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে এবার ১ হাজার হেক্টর জমিতে আম উৎপাদিত হয়েছে। বোশেখ মাসের শেষের দিকে দেশি আটির আমসহ হিমসাগর জাতের আম বাজারে তোলা হয়। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ হতে ফরমলিন ও বিষমুক্ত আম বাজারজাতকরণে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে মতবিনিময়সভার আয়োজন করা হয়। সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন ফরমালিন ও বিষমুক্ত আম বাজারজাতকরণের জন্য কৃষক ও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। এ জন্য তিনি আম পরিপক্ক অবস্থায় বাগান থেকে আহরণ করার নির্দেশনা দেন। কাঁচা অবস্থায় কোনো বাগানমালিক কিংবা ব্যবসায়ী যদি আম গাছ থেকে পেড়ে পাকানোর জন্য ইতোফোন জাতীয় হরমোন ও রাসায়নিক বিষ ব্যবহার করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। শুরু হয় প্রশাসনের নজরদারি। ফলে এ উপজেলার আমচাষিরা এবার বাগান হতে আগাম আম ভাঙতে ব্যর্থ হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাফিজসহ উপজেলা কৃষি ও উপজেলা মৎস্য অফিসার আমে ফরমালিনসহ রাসায়নিক দ্রব্যের মিশ্রণ দেয়া হয়েছে কি-না তা পরীক্ষা করেন। পরীক্ষায় রাসায়নিক দ্রব্যের কোনো মিশ্রণ ধরা না পড়ায় শহরের আমব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফাইভ স্টার ফল ভাণ্ডারকে রাসায়নিক বিষমুক্ত আমের প্রত্যয়নপত্র দেয়া হয়। আমের চালান পাঠানোকালে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি, উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাসহ আমব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাফিজ বলেন, এ উপজেলায় আমসহ সব ধরনের ফল রাসায়নিক বিষমুক্ত করার প্রচেষ্টা হাতে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, স্থানীয় বাজারসহ দেশের অভ্যন্তরে বিষমুক্ত আম সরবরাহ করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে প্রত্যয়নপত্র দেয়া হবে। পরীক্ষায় যদি আমে রাসায়নিক বিষ দেয়ার প্রমাণ ধরা পড়ে তাহলে ওই আম বিনষ্ট করাসহ সংশ্লিষ্টকে জেল-জরিমানা করা হবে।