সাত বছরে হাইস্কুল পার : তেরোতে এমএসসি

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ছোট্ট একটি ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস। ঘরে ছোট্ট একটি টেলিভিশনও আছে। এতে একমাত্র সরকারি চ্যানেল দূরদর্শন ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। কিন্তু এই ছোট ঘরেও বড় মানুষ থাকতে পারে। তবে লম্বায় নয়, মেধার স্বাক্ষর রেখে নিজেকে অনেকের চেয়ে বড় জায়গায় স্থান করে নিয়েছে ভারতের সুষমা ভার্মা। সাত বছরে হাইস্কুল পার এবং তের বছর বয়সে এমএসসি পাস করেছে সে!

দরিদ্র পরিবারের মেধাবী সন্তান সুষমার আগামী সেমিস্টারের ফি কিভাবে জোগাড় হবে সেটা নিয়েই চিন্তিত তার দিনমজুর বাবা! কেবল সুষমা নয়, তার ভাই শৈলেন্দ্রও একজন মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত। শৈলেন্দ্র হাইস্কুল শেষ করেছে নয় বছর বয়সে এবং চৌদ্দ বছর বয়সে বিসিএ সম্পন্ন করেছে। ভারতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করা সবচেয়ে অল্প বয়সী শিক্ষার্থী সুষমা। সে দশ বছর বয়সে সমন্বিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো। বর্তমানে তের বছর বয়সে সে অনুজীব বিজ্ঞানে এমএসসি করছে। আর সে এটা করেছে লক্ষ্মৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের বিশেষ অনুমতি নিয়ে। সুষমা জানায়, সে ডাক্তার হতে আগ্রহী। কিন্তু বয়স কম হওয়ার কারণে এখন হয়তো সেটা সম্ভব হবে না। তাই এখন পিএইচডি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।