সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে : লাভবান হচ্ছে দালাল সিন্ডিকেট

 

মহেশপুর প্রতিনিধি: ঈদকে সামনে রেখে মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে দেদারছে আসছে ভারতীয় গরু। কোরিড়োর থাকলেও ভ্যাট না করায় সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। লাভবান  হচ্ছে দালাল  ও প্রশাসনের অসাধু লোকজন।

এলাকাবাসী ও গোপনসূত্রে জানা যায়,  সামন্তা, রাইপুর পলিয়ানপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে কৃষকের ক্ষেত নষ্ট করে প্রতিদিন কয়েকশ গরু বাংলাদেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করছে। মাঝে মধ্যে ৫/১০ গরু বিজিবি আটক করে নিলাম করছে। মহেশপুর উপজেলার মধ্যে ভৈরবা ও গুড়দা নামক স্থানে দুইটি পৃথক পৃথক করিড়োর রয়েছে। ইতঃপূর্বে ভারত থেকে অবৈধভাবে আশা গরু করিডোরের মাধ্যমে ৫শ টাকা ভ্যাট দিয়ে বৈধ করা হতো। বর্তমানে তা করা হয় না। বিগত ৪/৫ বছর আগে ওই দুটি করিডোর থেকে মাসে অর্ধ কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব আদায় হতো। সীমান্তে কিছু সংখ্যক দালাল তারা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর অসাদু লোকজনের সাথে যোগ-সাজসে প্রতিদিন কয়েশ করে গরু নিয়ে আসছে।

সূত্র থেকে জানা গেছে, ওই সকল সিন্ডিকেট গরু জোড়া প্রতি ৮হাজার টাকা নিয়ে থাকে। এই টাকা সীমান্ত রক্ষী বাহিনী স্থানীয় রানৈতিক নেতা পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্থানে ভাগ-বাটোয়ারা হয়। যশোর ২৬ বিজিবি’র পক্ষ থেকে গত ১১ জুন পলিয়ানপুর ক্যাম্পের মাঠে এ বিষয়ে জনসাধারণকে উদ্ধুব্ধকরণমূলক সভা করে অবৈধ পথে গরু আনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় এই নিধেষ কেউ মানছে না।

খালিশপুর ৫৮ বিজিবি’র সিও লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম বলেন, তারা সীমান্তে কড়া নজরদারি রেখেছে। কোনভাবেই অবৈধপথে গুরু আনতে দেয়া হবে না। সীমান্তে যেন আর কোনো হত্যা না হয় সে বিষয়ে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, শ্যামকুড় ক্যাম্পের অধীননে যারা দালাল হিসেবে কাজ করছেন, তারা হলেন, আলী আহম্মদ পিতা আব্দুল খালেক, আব্দুর রশিদ পিতা মোফাজ্জেল, উভয় সাং-শ্যামকুড়। শ্রীনাথপুর ক্যাম্পের অধীনে লড়াইঘাট গ্রামের আমজেদ হোসেন ও আব্দুর রশিদ, সরিষাঘাটা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আলম, আব্দুর রাজ্জাক পিতা মহর আলী মেম্বার, মামুন, পিতা আজিজুল ইসলাম, সাং-গুড়দাহ। বাঘাডাঙ্গা ক্যাম্পের অধীন তাজু, রাজু, তোতা, হবি, সালাম, আনিস, রবিউল ইসলাম। পলিয়ানপুর ক্যাম্পের অধীন আলী পলিয়ানপুর, রেজাউল রায়পুর, আলী রায়পুর, ইয়ানবী সামন্তা ক্যাম্পের অধীন, ডালভাঙ্গা ইন্তা, কচুয়ারপোতা গ্রামের আতিয়ার প্রমুখ। এ বিষয়ে মহেশপুর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, থানার নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ আর্থিক সুবিধা নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।