সরকারি প্রথম শ্রেণির চাকরি শুরু হবে নবম গ্রেডে

 

স্টাফ রিপোর্টার: সরকারি ক্যাডার, নন-ক্যাডার ও বিভিন্ন সংস্থায় সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্তরা এখন থেকে নবম গ্রেডভুক্ত হবেন এবং এটাই হবে এখন প্রবেশ পদ। তবে এর মধ্যে ক্যাডারভুক্তরা বাড়তি একটি ইনক্রিমেন্ট পাবেন। গতকাল বৃহম্পতিবার সচিবালয়ে বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি বিষয় একটু টেকনিক্যাল ধরনের। অষ্টম ও নবম গ্রেড- এ দুটি নিয়ে একটা সমস্যা ছিলো। এখানে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, জনপ্রশাসন সচিব ড. কামাল আবু নাসের চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, পে-ফিকসেশনের ক্ষেত্রে কেউ অষ্টম গ্রেডে কেউবা নবম গ্রেডে চলে গিয়েছিলো। ফলে একটা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিলো। এখন নবম গ্রেডটাকে এন্ট্রি পদ করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণির ক্যাডার, নন-ক্যাডার কিংবা বিভিন্ন সংস্থায় যারা সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন তারা সকলেই একই স্কেলে বেতন পাবেন। তবে ক্যাডারভুক্তরা একটি ইনক্রিমেন্ট পাবেন।

সরকারি কলেজ শিক্ষকদের বিষয়ে অর্থসচিব বলেন, এখানে শিক্ষকরা চতুর্থ গ্রেড থেকে তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে আগে ৫০ ভাগ সিলেকশন গ্রেড পেতেন, এখন সিলেকশন গ্রেডের পরিবর্তে ৫০ ভাগ প্রমোশন দেয়া হবে। প্রমোশন পেয়ে তারা ওপরের গ্রেডে যাবেন।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, তাদের কিছু কষ্ট আছে। ইতোমধ্যে তাদের সাথে তিন সচিব বৈঠক করেছেন এবং বিষয়টি এখন প্রায় সমাধান হওয়ার পথে। শুধু একটি বিষয়ে তিন সচিব এখনো তাদের সাথে একমত হতে পারেননি। সেজন্য বেতন বৈষম্য নিরসন কমিটির আগামী বৈঠকে ৪ থেকে ৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি রাখা হবে। ওই বৈঠকেই বিষয়টি নিষ্পত্তি করা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, অর্থসচিব ও জনপ্রশাসন সচিব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জটিলতা নিরসনে পূর্বে বৈঠক করেন। নতুন পে-স্কেল অনুযায়ী বিসিএস ক্যাডার পদে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৮ম এবং অন্যান্য নন-ক্যাডার ও বিভিন্ন সংস্থায় সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্তরা ৯ম গ্রেড দেয়া হয়, ফলে সৃষ্টি হয় জটিলতা।