সদ্য হাজতমুক্ত নেশাখোর আক্তার শেখের অকাল মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গা স্টেশনের এক কোন থেকে উদ্ধার হলো লাশ
স্টাফ রিপোর্টার: সদ্য হাজতমুক্ত নেশাখোর আক্তার শেখের মৃতদেহ গতকাল সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনের ডাকঘরের বারান্দা থেকে উদ্ধার করা হয়। লাশের পাশেই পড়েছিলো নেশার কাজে ব্যবহার করা একটি সিরিঞ্জ। পকেটে পাওয়া গেছে গ্যাসের, ব্যাথানাশক ও এনার্জি বৃদ্ধির কয়েকটি ট্যাবলেট। অনেকেরই ধারণা, শীতের রাতে ঘুমের ইনজেকশন নিয়ে নেশার বেঘরে মারা গেছে ২৮ বছরের আক্তার শেখ। ওর বড় ভাইও মারা গেছে নেশার কারণে।
আক্তার শেখ চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের পুরাতন হাসপাতালপাড়ার উচ্ছন্নে যাওয়া এক পরিবারের অভাগা সন্তান। স্থানীয়রা এ তথ্য দিয়ে বলেছে, ওর পিতা সালাউদ্দিন শেখ কশাইয়ের দোকানে কাজ করে। প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও তিন ছেলেসহ সংসার রেখে সুমিরদিয়ায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন। প্রথমপক্ষের সংসার তছনছ হয়ে যায়। বড় ছেলে রতন যেমন নেশার কবলে পড়ে অনিবার্য পতনের দিকে ধাবিত হয়ে একদিন মারা যায়। তেমনই মারা গেলো দ্বিতীয় ছেলে আক্তার। তবে ছোট ছেলেকে বিড়ি সিগারেট ছাড়া অন্য নেশা করতে দেখা যায় না বলেই মন্তব্য পরিচিত কারও কারও।
জানা গেছে, আক্তার শেখ আনুমানিক ৬মাস আগে মাদকসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। দীর্ঘদিন জেল হাজতেই ছিলো সে। ওর স্ত্রী তার পিতার বাড়ি দামুড়হুদার মুক্তারপুরে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে থাকে। নেশাখোর স্বামীর সংসার ত্যাগ করেছে বহু আগে। গত কয়েকদিন আগে আক্তার শেখ হাজতমুক্ত হয়। চুয়াডাঙ্গা রেলবস্তি এলাকায় বাড়ি ভাড়া নেয়ার জন্য কয়েকজনের কাছে যায়। তাতে সাড়া না পেয়ে স্টেশনের এক কোনেই রাত কাটাতে শুরু করে। গতপরশু রাতে কখন মারা গেছে তা কেউ বুঝতে না পারলেও গতকাল সকালে লাশ দেখে জিআরপি সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। স্থানীয়রা বলেছে, হাজতে যাওয়ার আগে টোকাইয়ের কাজ করতো। হাজতমুক্ত হয়েও সে শহরে ঘুরে প্লাস্টিকসহ এটা ওটা কুড়িয়ে বিক্রি করেছে। কখন কার কাছ থেকে ঘুমের ইনজেকশন নিয়ে শরীরে পুশের পর মারা গেছে কে জানে?